বাংলার খবর
কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ, শাস্তির মুখে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক কালীচরণ সাহাকে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করা হল। বিদ্যালয়ে ট্রান্সফার হয়ে আসা এক ইংরেজি শিক্ষিকাকে কাজে যোগদান করতে না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্ট প্রধানশিক্ষক কালীচরণ সাহাকে তার কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
একই সঙ্গে ইংরেজি শিক্ষিকা সংযুক্তা রায়কে সাত দিনের মধ্যে স্থায়ী শিক্ষক হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃ্হস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রধানশিক্ষক আর ওই পদে কাজ করতে পারবেন না। পাশাপাশি তাঁকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
আপাতত টিচার ইনচার্জ প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব সামলাবেন। এই বিষয়ে প্রধানশিক্ষক কালীচরণ সাহা এদিন বলেন, ”আমার লঘু পাপে গুরুদন্ড হয়েছে। আমার কি দোষ বুঝতে পারছি না। এখন ডিভিশন
বেঞ্চে যাবো।” করোনেশন হাই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মহিদুর আলম স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ২০১৯ সালে দোষী সাব্যস্ত হন। এরপর পদটি শুন্য থাকা সত্বেও প্রধানশিক্ষক বদলি হয়ে আসা ইংরেজি শিক্ষিকা সংযুক্তা রায়কে জয়েন না করিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন এবং প্রায় ১০ মাস পর শিক্ষক মহিদুর আলমকেই ওই পদে জয়েন করান। ওই শিক্ষিকা বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ডের ছায়া নন্দীগ্রামে, দুই মহিলাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ
এরপর বিচারপতি গত ২১ মার্চ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষিকা সংযুক্তা রায়কে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা পদে নিয়োগ পত্র দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানশিক্ষকের অনির্দিষ্টকালের জন্য বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো গত ২২ মার্চ শিক্ষিকাকে জয়েন করায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৩ মার্চ ফের শুনানি হলে বিচারপতি প্রধানশিক্ষক সহ প্রাক্তন দুই টিচার ইনচার্জকে তাদের এ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যার পর মাঠে থাকতে পারবেন না মহিলারা, ক্লাবের অদ্ভুত ‘ফতোয়ায়’ বিতর্ক
গত বৃহস্পতিবার ছিল ফের শুনানি। ওইদিন বিচারপতি সব কিছু শোনার পর প্রধানশিক্ষককে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে টিচার ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে নির্দেশ দেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক কুমার ভক্ত জানান, এখনও আদালতের কোনও অর্ডার কপি আসেনি। তবে আমাদের মেল আইডি চেয়েছিল সেটি পাঠিয়ে দিয়েছি। দেখা যাক আদালতের কোন নির্দেশ আসে।