আন্তর্জাতিক
পেটে ব্যথা নিয়ে বাথরুমে গিয়েছিলেন তরুণী, বের হলেন সন্তান কোলে নিয়ে!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাতে টয়লেটে গিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু টয়লেট থেকে যে অবস্থায় বাইরে এলেন তা দেখলে হতচকিত হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে বছর ২০’র এক ছাত্রী রাতে টয়লেট করতে বাথরুমে যান। তারপর সেখানে গিয়ে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। জেস ডেভিস নামের ওই ছাত্রী সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে পর্যন্ত জানতেন না তিনি গর্ভবতী। এমনকি অন্তসত্ত্বার কোনও বিন্দুমাত্র লক্ষণই ছিল না তাঁর শরীরে। শুধু তাই নয়, তাঁর ঋতুচক্রও অনিয়মিত ছিল বলে জানিয়েছেন ওই ছাত্রী।
এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, জেস ডেভিস ব্রিস্টলের ইতিহাস ও রাজনীতির শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। তার গর্ভধারণের কোনও সুস্পষ্ট লক্ষণ ছিল না। ছিল না বেবি বাম্পও। তিনি দাবি করেছেন, তার ঋতুচক্র সব সময়ই অনিয়মিত ছিল। তাই লক্ষ্য করেননি যে জরায়ুতে একটি শিশু বড় হচ্ছে। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না ডেভিস নিজেও।
আরও পড়ুন: উত্তর মিসৌরিতে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ৩, আহত ৫০
গত ১১ জুন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন জেস ডেভিস। এখন অবশ্য মাতৃত্বে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে সে। নবজাতকের ওজন প্রায় তিন কেজি। তিনি বলেছেন, ”যখন সে জন্মেছিল, সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় একটা ধাক্কা। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আমি দুঃস্বপ্ন দেখছি”।
ডেভিস আরও বলেন, ”যতক্ষণ না আমি তার কান্না শুনি, ততক্ষণ আমি বুঝতে পারিনি কী ঘটেছে। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে, তার সঙ্গে মাতৃত্বের বন্ধন তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু এখন আমি যেন চাঁদ হাতে পেয়েছি”।
জানা গিয়েছে, চলতি জুন মাসের ১১ তারিখ নাগাদ রাতের দিকে তীব্র ব্যথায় ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলেন ডেভিস। তখন ধরেই নিয়েছিলেন এটি তার পিরিয়ডসের শুরু। তিনি কোনওরকম হাঁটতেও পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন। ব্যথার কারণে বিছানায় শুতেও পারছিলেন না। ডেভিস আরও বলেন, ”একপর্যায়ে বাথরুমের চাপ পায়। টয়লেটে বসে কখনও ভাবিনি আমি সন্তান জন্ম দিচ্ছি। কিন্তু একপর্যায়ে আমার তলপেট যেন ছিঁড়ে যাচ্ছিল। কিছু একটা পড়ে যায়। তখনও জানতাম না এটা কী! আমি শুধু জানতাম যে চাপমুক্ত হতে একটা কিছু বের করে দেওয়া দরকার। তার কান্নার শব্দ শুনে যেন আমি বাস্তবে ফিরে আসি। বুঝতে পারি আসলে কী ঘটল”।
আরও পড়ুন: ফুচকা থেকে ছড়াচ্ছে কলেরা, সাধের ‘পানিপুরি’ বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারের
এদিকে তখন কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ডেভিস। বাড়িতে একা ছিলেন। তখন সবচেয়ে কাছের বন্ধু লিভ কিংকে ফোন করেন। প্রথমে তার সেই বন্ধু বিশ্বাসই করছিলেন না। অত রাতে তিনিও বাইরে বের হতে চাচ্ছিলেন না। নানা অজুহাত দিতে থাকেন। ডেভিসকে অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করার পরামর্শ দেন। তখন বাধ্য হয়ে ডেভিস তাকে নবজাতক পুত্রের একটি ছবি পাঠান। তারপরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ডেভিসকে। বর্তমানে মা নবজাতক দু’জনেই সুস্থ আছেন।