বাংলার খবর
হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে যেতেই প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল প্রেমিক!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রেমিক-সহ তাঁর গোটা পরিবার বাড়ি থেকে উধাও বলেও অভিযোগ করেছেন প্রেমিকা।
ওই প্রেমিকার অভিযোগ, প্রথমদিকে রাজি না হলেও তাঁর চাপেই বাড়িতে এসে দেখা করতে বলেছিলেন তাঁর প্রেমিক। সেই মতো ওই যুবতী নিশিগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে এসে দেখেন প্রেমিক বেপাত্তা। এমনকী, তাঁর পরিবারের কেউই বাড়িতে নেই৷ ওই সময় বাড়িতে ছিলেন প্রেমিকের মাসি। তাঁর কাছ থেকে বারবার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেও কিছুই জানতে পারেননি বলে দাবি সদ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি হারানো প্রেমিকা। বাড়িতে এসেও তিনি ওই যুবককে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ। এরপরই বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন প্রেমিকা। তাঁর দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে ছয় মাস ধরে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। কিন্তু চাকরি চলে গিয়েছে জানতে পেরেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁর প্রেমিক।
যদিও প্রেমিকার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই যুবক। পেশায় কলেজের অস্থায়ী অধ্যাপক ওই যুবক জানিয়েছেন, এক ঘটকের মাধ্যমেই তাঁদের পরিচয় হয়েছিল। দুই বাড়ির মধ্যে বিয়ের কথা এগোচ্ছিল। কিন্তু ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রেমের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি বলেছেন, ‘ওই মহিলার সঙ্গে আমার প্রেমের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তার কোনও প্রমাণ, ছবি বা মেসেজও দেখাতে পারবে না। ওঁর সঙ্গে আমার ফোনে বা মেসেজে কোনও কথাই হত না। এক ঘটকের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়েছিল। ঘটকই আমাকে ওই মহিলার ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। মেয়ের বাড়ি থেকেই আমার বাড়িতে দেখাশুনার জন্য এসেছিল। আমি, আমার পরিবার বা প্রতিবেশী- আমারা কেউই এই মেয়েকে দেখেনি। ওই মহিলার চাকরি যাওয়া নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। চাকরি দেখে আমরা বিয়ের সম্বন্ধ এগোনোর বা পিছিয়ে আসার কথা ভাবিনি।’
ওই যুবক আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে কেউ ওই মহিলাকে দেখতে যায়নি। এর আগে একবার ওঁর বাড়ির লোকজন আমার বাড়িতে এসেছিলেন। সেই দিন নিশিগঞ্জ বাজারে মেয়েটি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর বাড়ি ফিরেই আমার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না! আমার বাড়ি থেকে ওর বাড়িতে বিয়ের কথাবার্তা বলতে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ধর্নায় বসল। আমি পেশায় একজন অতিথি অধ্যাপক। আমার সম্পর্কে সকলের কাছে খোঁজ নিতে পারেন।’
যদিও প্রেমিকার অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর ছয় মাস ধরে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাঁর চাকরি চলে যাওয়ার পরই ওই যুবক তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। তারপরই বিয়ের দাবি জানিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন প্রেমিকা।