আন্তর্জাতিক
রমজানের নামাজের মধ্যেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, হত ৫০

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আফগানিস্তানজুড়ে তালিবান শাসন কায়েম হতেই ফের দু’দশক পর অন্ধকারের কালো ছায়া নেমে এসেছে আফগানবাসীর জীবনে। পবিত্র রমজানের মাসেই রেহাই নেই। রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে জঙ্গিহামলায় প্রাণ হারালেন অন্তত ৫০ জন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুলের Khalifa Sahib-মসজিদে। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি তবে জঙ্গি হামলায় ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র। জানা গিয়েছে, ওই হামলাটি যখন ঘটানো হয়েছিল তখন সুন্নি মসজিদে উপাসকরা জুমার নামাজের পরে ‘জিকর’ নামে পরিচিত আরও একটি জামাতের জন্য জড়ো হয়েছিল।
হামলা প্রসঙ্গে মসজিদের প্রধান সাইদ ফাজিল আগা বলেন, ”আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।” তিনি আরও বলেন,”হঠাৎ করে কালো ধোঁয়া উঠল এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। কিছু বুঝে ওঠার আগে দেখতে পেলাম চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। তাঁর মধ্যে আমার ভাগ্নেরাও ছিল। আমি নিজে বেঁচে গিয়েছি কিন্তু আমার প্রিয়জনকে হারালাম।”
আরও পড়ুন: টুইটার (Twitter) কেন কিনলেন ইলন মাস্ক জানলে অবাক হবেন!
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সাবির বলেন, ”বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মনে হচ্ছিল, কেউ আমার কানের কাছে বাজি ফাটিয়েছে। চোখ খুলতেই দেখতে পেলাম জখম ব্যক্তিদের দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।” এই বিষয়ে কাবুলের হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৬৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৭৮। পরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন রক্ষাকবচ! রুশ হামলা থেকে প্রাণে বাঁচলেন ইউক্রেনীয় সেনা
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকরা আফগানিস্তানের উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। তাঁরা আরও বলেছেন যে, এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে সহিংসতার বৃদ্ধির অংশ ছিল এবং যোগ করেছে যে জাতিসংঘের কমপক্ষে দুজন কর্মী এবং তাদের পরিবার মসজিদে ছিল। আক্রমণের সময়।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মহাসচিবের ডেপুটি স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ মেট নুডসেন বলেছেন, “এই ঘৃণ্য কাজের নিন্দা করার মতো কোনো শব্দই যথেষ্ট নয়।”