বাংলার খবর
বিজেপির নিচু তলায় পিকের মাইনে করা কর্মী! বিস্ফোরক টুইট তথাগত রায়ের, কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মদন মিত্র
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: টুইটারই বিস্ফোরক মন্তব্য করাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায়। মঙ্গলবার টুইটারে আবার বোমা ফাটালেন তিনি। মঙ্গলবার পরপর দুটি টুইট করে তথাগত রায় দাবি করেছেন, বিজেপির নিচুতলায় তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মাইনে করা কর্মীতে ভরে গিয়েছে! তবে তাদের চিহ্নিত করা যে এখনও সম্ভব হয়নি, সেটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
তথাগত রায় টুইটারে লিখেছেন, ”একজন একনিষ্ঠ বিজেপি সমর্থকের কাছ থেকে পাওয়া। ‘স্যার আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, আমাদের এখানে আমাদের পাশের গ্রামে এক জন আমাকে বলছিল ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে পিকে-র টিম থেকে অনেকেই ফোন করছিল। আমাদের এখানকার এক জন শিক্ষিত যুবককে ফোন করেছিল। আমাদের পাশের গ্রামেই বাড়ি। তাকে ফোন করে বলছিল ১৩ হাজার টাকা করে মাইনে দেবে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য। তাই আমার মনে হয় বিজেপিতে এখনও নিচের তলায় এরকম অনেক পিক-এর মাইনে দেওয়া কর্মী আছে।
যতদিন না এদের চিহ্নিত করা যাবে বিজেপিকে জিতানো খুবই অসম্ভব।’’ তবে তার এই দুইটা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগেই ‘পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি আপাতত বিদায়’ লিখে ছবি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। পরে যদিও টুইট করেই জানান, তিনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছেন না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকেও প্রকাশ্যে আক্রমণ করতে পিছপা হন না এই বর্ষীয়ান নেতা। তার এই ধরনের বিস্ফোরক মন্তব্যে আমি অস্বস্তিতে করতে হয় দলকে। তবে তথাগত রায়ের এ দিনের এই বিস্ফোরক টুইট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
মঙ্গলবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মদন মিত্র বলেছেন, ‘তথাগত রায়ের একটা বাহাত্তুরে সমস্যা হয়েছে। সেটা না কাটাতে পারলে সমস্যা হচ্ছে। উনাদের দলে পিকের লোক ঢুকে পড়েছে! সেটা ওদের সিবিআই, ইডি-এর মতো এতো এজেন্সি খুঁজে বার করতে পারল না। তাহলেতো সিবিআই ব্যর্থ। সিবিআই তাহলে ডবল গেম খেলছে। উনি তো বলছেন পিকের মাইনে করা লোকেদের তিনি এখনও চিহ্নিতকরণ করতে পারেননি। তাহলে ধরে নিতে হবে সিবিআই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। আর তা না হলে বুঝে নিতে হবে, সিবিআই আর ওদের কথা শুনছে না। নিজেদের মতো যা ইচ্ছা তাই করছে। তাহলে এই ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত। আর আমার তো মনে হয়, এই ডাবল এজেন্ট খুঁজে বার করতে গিয়ে প্রথমেই না তথাগত রায়, দিলীপ ঘোষের নাম বেরিয়ে আসে।’