বাংলার খবর
আগরতলায় বিপ্লব দেব সরকারকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, ভোটে খাতা খুলতে পারবে না বিজেপি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পাখির চোখ করছে যে কয়েকটি রাজ্যকে, তার মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা। ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট।
সেখানে ইতিমধ্যেই সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরসভার ভোট। এই পৌরসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে একের পর এক নেতা মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। আর তৃণমূলের প্রচারে দেখা যাচ্ছে একের পর এক বিতর্ক। বিভিন্ন যায়গায় শাসক দল বিজেপির সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। গত রবিবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে আগরতলা থানার পুলিশ। তারপর থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়। রবিবার আসার কথা থাকলেও সোমবার সকালে আগরতলা এসে পৌঁছান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারনণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগরতলা পৌঁছেই সায়নী ঘোষের গ্রেফতার নিয়ে বিপ্লব দেব সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেছেন, ‘বিপ্লব দেব সরকার সারা ত্রিপুরা জুরে দুয়ারে গুন্ডা মস্তান পাঠানোর চেষ্টা করছেন। এই সব গুন্ডামি বন্ধ করুন।’ পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন। কয়েকজন বিজেপি নেতাকে খুশি করার জন্য সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার বন্ধ করুন। ত্রিপুরায় নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দমনপীড়নের সব রেকর্ড ভেঙেছে বিজেপি। এ রাজ্যে বিরোধীদের কথা ছেড়েই দিন। আক্রান্ত সাধারণ মানুষ, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি। হাসপাতালে রোগী সুরক্ষিত নন। থানায় পুলিশ সুরক্ষিত নন।’ এছাড়া তিনি সায়নী ঘোষের জামিনের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীদের সাথেও কথা বলেন। ২৫ তারিখ পুরভোট নিয়েও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিকমতো ভোট হলে বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিষেক বলেছেন, ‘ত্রিপুরার মানুষদের আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, আপনারা মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। বিপ্লব দেবের তল্পিবাহক হবেন না। হাতে পদ্মফুল হোক বা মোদির ছবি নিয়ে হোক, বৃহস্পতিবার ভোট দিতে যান। ভোটকেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে জোড়াফুল চিহ্নের বোতাম টিপে ভোট দিন। ২৫ তারিখ ভোট হলে আপনার মূল্যবান ভোট দিতে যেতে হবে। না হলে ত্রিপুরার পরিস্থিতির বদল হবে না। যে ভাবে বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে, সে ভাবেই এই সরকারকে বোকা বানাতে হবে। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না।’