বাংলার খবর
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুমকি বিজেপির, শনিবারের মধ্যে কমিশনের থেকে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে কলকাতা পুরভোটে করানোর জন্য কমিশনের কাছে দরবার করল বিজেপি। দরকারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজেপি আদালতে যাবে বলেও জানালেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই কথা জানিয়েছেন তিনি। অর্জুন সিংয়ে নেতৃত্বে বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে। অর্জুন সিং ছাড়াও ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল ও শিশির বাজোরিয়া। অর্জুন সিং বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চলছে নির্বাচন কমিশন। এরা নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। শান্তিপূর্ণ ভোট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আমরা আদালতে যেতে পারি।’ একই দাবি জানিয়ে বিজেপি-র মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, ‘মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
পুলিশ কমিশনারের কাছে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। তা ছাড়া ভুয়ো আইপিএস, আইএএস-এর মতো হয়তো ভোটের দিন ভুয়ো পুলিশ ঢুকে যাবে। তাই আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছে।’ বিজেপির আগেই বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন বামেদের এক প্রতিনিধি দল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছে বামেরা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি বাম নেতৃত্ব। বাম নেতা রবীন দেব বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তারা তো রাজ্যের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে। তাই তাতে লাভ কিছু হবে না। আমরা বরং কমিশনকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানোর ব্যাপারে নিশ্চিত করতে বলেছি।’
আবার এ দিনই কলকাতা পুরভোট নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করতে কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চান তিনি। এবং কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার হবে কি না, সে ব্যাপারেও কমিশনের অবস্থান জানাতে বলেছেন রাজ্যপাল। আগামী শনিবারের মধ্যে কমিশনারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দল দিনে একটি থানা এলাকায় তিনটির বেশি সভা করতে পারবে না। দুই মিটিংয়ের মধ্যে ৩০০ মিটারের দূরত্ব থাকতে হবে। মিটিং করার জন্য ওসি’র কাছে দুই কপি আবেদন করতে হবে। প্রচার করা যাবে সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত।