বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা বলে ফেলেছেন তা চাপা দিতে তাপ্পি মারার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা: লকেট চট্টোপাধ্যায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ-খুন,অশান্তির ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। বগটুই থেকে হাঁসখালি একের পর এক ঘটনার নিন্দায় সরব সব পক্ষ। চলছে তুমুল রাজনৈতিক সমালোচনা। এরই মধ্যে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ‘মন্তব্য’ নিয়ে তাঁকে তোপ দাগলেন হুগলীর BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ”ধর্ষণের ব্যাখ্যা মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হিসাবে যেভাবে দিচ্ছেন তা ভাবা যায় না। লাভ অ্যাফেয়ার্স বলছেন, প্রেগন্যান্ট বলছেন ওনার দল মা মাটি মানুষের কথা বলে আমার মনে হয় মা এবার বাদ দিতে হবে,কারন মায়েদের সম্মান এখানে নেই।”
অন্যদিকে বুধবার সুখেন্দু শেখর রায় হাঁসখালি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ”এইসব ঘটনার ক্ষেত্রে পরিবার,আত্মীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জড়িত থাকে বেশির ভাগ সময়।” এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে BJP সাংসদ বলেন, ”যে কেউ জড়িত থাকুক, সে পরিবারের হলেও কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটবে। তার দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র তো ঘটনার নিন্দা করেছেন। সেখানে আরেকজন সাংসদ কেন বেসামাল হয়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষা বলে ফেলেছেন তাকে চাপা দিতে তাপ্পি মারার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। সামাল দিতে গিয়ে বেসামাল হয়ে যাচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চেয়ে চিঠি
তিনি বলেন, ”সিবিআই তদন্ত দিয়েছে কোর্ট সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। সিবিআই তদন্তে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসুক। যে ধরনের উস্কানি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ধর্ষকদের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। অথচ নির্যাতিতার পরিবারের পাশে নেই। সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে দোষীরা শাস্তি পাবে।”
বেহালায় সংঘর্ষ, হাওড়া কলেজে টিএমসিপি গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ও নবদ্বীপে প্রাতঃভ্রমণে মহিলা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলীর সাংসদ বলেন, ”ক্ষমতার লড়াই চলছে তৃণমূলে। সিন্ডিকেট থেকে তোলাবাজি করে ওদের পকেটে এত টাকা এসে গেছে সেই টাকা কার কাছে যাবে সেই পাওয়ার কাকে দেওয়া হবে তা নিয়েই লড়াই। আমরা হিমালয়ের চূড়া দেখা যাচ্ছে।খুব শীঘ্রই দেখা যাবে যে সরকারটাই না পড়ে যায়। কারণ নেতা মন্ত্রী একের পর এক যেভাবে অভিযুক্ত হচ্ছে।”
আরও পড়ুন:SSC মামলায় স্বস্তি পার্থর, শিক্ষক নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ কোর্টের
”দময়ন্তী সেনকে কোর্ট যে দায়িত্ব দিয়েছে তাকে আমরা সম্মান জানাই। আশা করি উনি খুব ভালো তদন্ত করবেন। কারণ ওকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের সত্যিটাকে উনি সামনে এনে দিয়েছিলেন বলে ওনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজকেও যেখাবে হাইকোর্ট গন্ডোগোল করেছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে যেভাবে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এটা খুবই নিন্দনীয়। দেশের কোথাও এটা হয় না, এটা পাকিস্তানে হতে পারে।