বাংলার খবর
ঘরে ফিরেও আতঙ্কের প্রহর কাটছে না পড়ুয়াদের, ইউক্রেন ফেরত বাঙালিদের সঙ্গে দেখা করলেন লকেট

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জারি রয়েছে যুদ্ধের পরিবেশ। চারিদিকে শুধুই গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন বাড়ছে যুদ্ধের ঝাঁঝ। মাথা নত করতে নারাজ দু’পক্ষই। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরছেন। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া,হাঙ্গেরি হয়ে পড়ুয়াদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি সূত্রে খবর, প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়েছিলেন। বাংলা থেকেও অনেকেই আটকে ছিলেন সেখানে। যদিও সরকারি প্রচেষ্টায় বেশকিছু বাঙালি পড়ুয়াফিরেছেন বাংলায়। ইউক্রেন থেকে ঘরে ফিরতেই এদিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ভদ্রেশ্বরের মৈত্রেয়ী মুখার্জী, চাঁপদানীর মনিষা যাদব, বৈদ্যবাটির পুষ্প চন্দন রায়,চাঁপসারার সৌম্য সাঁতরাদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ। এদিন তাঁদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ফেরাতে চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইউক্রেনের প্রতিবেশী চারটি দেশে ইতিমধ্যে চলে গিয়েছেন। সেখান থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পড়ুয়াদের সীমানা পেরিয়ে দ্রুত দেশে ফেরানোর জন্য সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পড়ুয়ারা যেভাবে যুদ্ধের পরিবেশ থেকে ফিরেছে ওরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।”
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: পুতিন-মোদি ফোনালাপ, ভারতীয়দের ফেরাতে ১৩০টি বাস পাঠাচ্ছে রাশিয়া
তিনি আরও বলেন, ”পড়ুয়াদের মা-বাবার সঙ্গেও কথা বললাম। তাঁদের ভবিষ্যৎ পরে হবে। তবে তার আগে জীবন। বাংলার পরিকাঠামো এত খারাপ সবাই বাইরে বাইরে পড়াশুনা করতে চাকরি করতে যাচ্ছে।যুদ্ধ শুরু হবার আট দশ দিন আগে দেশে ফিরতে বলা হয়েছিল পড়ুয়াদের।”
”কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন অফিসিয়ালি। তার পরেও যারা ফেরেনি তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করছে সরকার। পড়ুয়ারা যাতে তাঁদের পড়াশুনা শেষ করতে পারে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হবে।”
ইতিমধ্যে দিল্লীতে এসে পৌঁছেছে যেসব বাংলার পড়ুয়ারা ভিডিও কল করে তাঁদের খোঁজ নেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেও আতঙ্ক যেন কাটছে না বৈদ্যবাটির ডাক্তারী পড়ুয়া পুষ্প চন্দন রায়ের। তিনি বলেন, ”ভারতে সেরকম সুযোগ নেই। প্রতিবছর দেশে প্রায় ষোলো থেকে আঠেরো লাখ পরীক্ষা দেয় চল্লিশ হাজার সিটের জন্য। তাই বাধ্য হয়ে বিদেশে যেতে হয়। ভারতে বেসরকারি কলেজগুলোতে ডাক্তারি পড়ার খরচ এক কোটি টাকা সেটা ইউক্রেনে ত্রিশ থেকে চল্লিশ লাখ টাকা। চার মাস আগে ইউক্রেনের ইভানো ফ্রাঙ্কিভস কলেজে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলাম। যদিও পশ্চিম ইউক্রেনে সেরকম যুদ্ধের আঁচ না পড়লেও দেশে ফেরার সময় রোমানিয়া বর্ডারে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। তবে রোমানিয়া সরকার পড়ুয়াদের খুব সাহায্য করেছে। আগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা রয়েছে।”