বাংলার খবর
পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতেই দিল্লিতে জরুরি তলব অর্জুনের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ব্যারাকপুরের BJP সাংসদ অর্জুন সিংয়ের পাট-বাণে বিদ্ধ জাতীয় রাজনীতি। বাংলায় পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতেই তড়িঘড়ি অর্জুনের তলব পড়ল দিল্লিতে।
শনিবার দুপুরের ফ্লাইটে কলকাতা থেকে দিল্লি উড়ে গেলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের পাট নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন অর্জুন সিং। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কড়া সমালোচনাও শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। এমন কি, এই ইস্যুতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনে নামতেও তৈরি বলে দাবি করেছিলেন অর্জুন সিং। দলীয় সাংসদের এই অবস্থানে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
শুক্রবারই এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন অর্জুন। একই সঙ্গে ওড়িশা, অসম এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রীদেরও চিঠি দেন তিনি। কারণ এই সমস্ত রাজ্যেই পাট চাষ এবং পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, জুট কর্পোরেশনের দুর্নীতির কারণে এবার ধ্বংসের মুখে পাট শিল্প। এই বিষয়ে সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee-এর হস্তক্ষেপ দাবি করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন বারাকপুরের BJP সাংসদ Arjun Singh।
আরও পড়ুন: ‘বর্তমান জুট কমিশনার দুর্নীতিগ্রস্থ’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অর্জুন সিং
গত বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বারাকপুরের সাংসদ বলেন, ”জুট কর্পোরেশনের দুর্নীতির কারণে পাট শিল্প ধ্বংসের মুখে। যে বারাকপুরকে উত্তর ২৪ পরগণার শিল্পাঞ্চল বলা হত সেই বারাকপুরে এখন মাত্র ১৭টা জুটমিল চালু রয়েছে। দিন-দিন যেভাবে পাট শিল্প ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে তাতে এই বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিহার,ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীদেরও সরব হওয়া দরকার। শুধু তাই নয়, ধারাবাহিক ভাবে পাট শিল্পকে ধ্বংসের চেষ্টা চলছে।”
আরও পড়ুন: মাও পোস্টারে আতঙ্ক ঝাড়্গ্রাম-বাঁকুড়ায়
তিনি আরও বলেন, ”বর্তমান জুট কমিশনার মলয় চক্রবর্তী প্লাস্টিক লবির কাছের লোক। আমি আজই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি লিখব। ইতিমধ্যে ১৪ কারখানা বন্ধ হয়েছে আরও ১০টি বন্ধ হবে। ২ কোটি মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বর্তমান জুট কমিশনার দুর্নীতিগ্রস্থ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করন।”