বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠে চাষ করতে নামলেন বিজেপি বিধায়ক, দলবদলের জল্পনা!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর কথায় মাঠে চাষ শুরু করতে নামলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। ট্রাক্টর চালিয়ে জমিতে চাষের কাজে নিযুক্ত হলেন তিনি। বিধায়কের দাবি, দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে বিধায়কদের মাঠে নেমে চাষ করার নিধান দিয়ে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথাকে প্রাধান্য দিয়ে বাঁকুড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা নিজে ট্রাক্টর চালান এবং জমিতে চাষ করেন। পাশাপাশি কিভাবে বীজ ধান রোপন করতে হয় কিভাবে বীজ ধান তুলতে হয় তাও সেই বিষয়েও জানলেন তিনি। নিজের হাতে ধান তুলে দেখিয়েও দিলেন। বিধায়ক জমি চাষ দিলেন আর পাশে দাঁড়িয়ে রইল তার নিরাপত্তা রক্ষী। সম্প্রতি, বাঁকুড়ার মানুষ এমন ছবি দেখল যা আগে তাঁরা কখনো দেখেননি।
এই বিষয়ে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা সাংবাদিকদের মুখোমুখি জানান, ‘আমাদের পশ্চিমবাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তিনি দুর্গাপুরে নিদান দিয়ে গেছেন পশ্চিমবাংলার যত বিধায়ক আছেন আপনারা চাষে নেমে পড়ুন। যে সমস্ত প্রান্তিক চাষীরা রয়েছেন তারা অত্যন্ত গরিব। চাষিরা চাষ করে উদ্বৃত্ত ফসল বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না ফসল ফলাতে গেলে যে পরিকাঠামোগত মান প্রয়োজন পশ্চিমবাংলায় তা নেই, চাষিরা সার পাচ্ছে না জল পাচ্ছে না এটা মুখ্যমন্ত্রী অনুভব করেছেন যে পশ্চিমবাংলায় চাষিরা ভালো নেই। তাই তাদের বিধায়কদের গিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা তো ফেলে দিতে পারি না। নিজের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, মানুষ এমন একজনকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন যিনি সবদিকে পারদর্শী।’
অন্যদিকে, বিধায়কের এই কর্মকান্ডে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা। তাঁর কথায়, বাঁকুড়ার বিধায়ক অকেজো হয়ে পড়েছেন, মানুষের কাছে তিনি পৌঁছাতে পারছেন না তাই এই কাজ করছেন। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠে চাষ করতে নেমে জল্পনার মুখে পড়লেন বাঁকুড়ার এই বিজেপি বিধায়ক। তবে কি দলবদলের ইঙ্গিত নাকি অন্যকিছু, প্রশ্ন বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহলে।