বাংলার খবর
বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ধুন্ধুমার বিধানসভা, TMC-BJP হাতাহাতিতে নাক ফাটল বিধায়কের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শাসক দল এবং বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে বিধানসভায় তুমুল মারপিট। আহত বেশ কয়েক জন বিধায়ক। অভিযোগ, দু’পক্ষের হাতাহাতিতে ছিঁড়ে গিয়েছে বেশ কয়েকজনের জামাকাপড়। আহত হয়েছেন বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞা। বিজেপির অভিযোগ, আট থেকে নয় জন বিজেপি বিধায়ক আহত হয়েছেন। তাঁদের মেডিকেল করতে নিয়ে যাওয়া হবে।
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সহযোগে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্লোগান সহযোগে বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভ।
হায় হায় ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিধানসভা। কাগজ ছিঁড়ে ফেলা হয়। স্পিকারের অভিযোগ মহিলা সিকিউরিটি গার্ডকে আপনারা ধাক্কাধাক্কি করছেন। এটা ভালো নয়।
স্পিকারকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখনা বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের কাছে কাছে পৌঁছাতে না পারে তার জন্য দুটি পথ আটকে দাঁড়িয়েছে মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা। কাগজ ছিড়ে স্পিকারের দিকে ছুঁড়ছেন বিজেপি বিধায়করা। নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে ঠেলাঠেলি চলছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বনধে জেলায়-জেলায় মিশ্র প্রভাব, পথে বেরিয়ে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘বিধানসভায় আমাদের বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে’ বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি আরও বলেন,’রাজ্যের বেহাল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করুন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরে। রাস্তায় সরকারি যানবাহন চলছে হাতে গোনা কয়েকটি। রাস্তায় বেসরকারি যানবাহন খুবই কম পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, এগরা, তমলুক এবং হলদিয়ায়। পাশাপাশি হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেও বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা গেল। হলদিয়ায় কলকারখানা খোলা থাকলেও শ্রমিকের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে অশান্তি আমাকে বলুন সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেব’:মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিকে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা হাওড়ার ডোমজুড় স্টেশনের কাছে রাস্তা ও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়গুলোর ডাকা দেশজুড়ে সাধারন ধর্মঘটে মিশ্র প্রভাব পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলায়।বেসরকারি যানবাহন রাস্তায় না নামলেও সরকারি বাস চলেছে। তবে বনধের প্রভাবে অল্প বিস্তার খুলেছে হাট বা বাজার। কিছু কিছু দোকানপাট খুলেছে। এক কথায় বলায় যায় জেলা জুড়ে তেমন বনধের প্রভাব পরেনি।