বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রীকে 'কালো পতাকা', দেখুক কেমন লাগে খোঁচা দিলীপের
Connect with us

বাংলার খবর

বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘কালো পতাকা’, দেখুক কেমন লাগে খোঁচা দিলীপের

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘নারী কেন, উনি তো বাঘিনী। বাঘিনী আবার নারী হয় নাকি?’ উত্তরপ্রদেশে গিয়ে আবার জেন্ডারও চেঞ্জ হয়ে গেল…. বেনারসে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) তোপ দেগে এই কথা বলেন বিজেপির(BJP) রাজ্য সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)।

এদিন তিনি আরও বলেন, ”উনি তো প্রধানমন্ত্রী,রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখিয়েছেন। এবার নিজে দেখুন কালো পতাকা দেখলে কেমন লাগে। ” এছাড়াও তৃণমূলের উত্তরবঙ্গে আসন পাওয়া নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ”বিজেপি(BJP) কোথাও ছিল না। গত লোকসভা বিধানসভায় এসেছে। তারা কেন আসতে পারেনি। উত্তরবাংলার লোক হিংসার রাজনীতি কখনও পছন্দ করেন না। দক্ষিনবাংলার রাজনীতি উত্তরবাংলার লোকেরা চাই না। পুলিশ দিয়ে জোর করে পুরসভা ভোটে জিতেছে। ভোট করতে দিচ্ছে না। এই রাজনীতি নিয়ে হয়তো বাংলা দখল করা যাবে বাংলার উন্নয়ন কখনও করা যাবে না।

শুধু তাই নয় ২০২২ সালের পুরভোটে বামেদের(CPIM) দ্বিতীয়স্থান দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”
আগে বামেদের দখলে কটা পুরসভা ছিল? এখন কটা আছে? বামেরা দ্বিতীয় কেন প্রথম ছিল। এবারের যে ভোট করা হয়েছে সেখানে বামেদের দ্বিতীয় করা হয়েছে। এখন সিপিআইএম-এর(CPIM) যা পরিস্থিতি তাদেরকে ওষুধ খাইয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। যেটা তৃণমূল চাইছে বাম দ্বিতীয় স্থানে থাকুক। কিন্তু মানুষ বামফ্রন্ট কে আর স্বীকার করছেন না। নৈতিকভাবে জয় বিজেপির।”

Advertisement

যদিও তৃণমূলের কাছে পরাজয় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”ভোট যেটা হয়েছে সেটা তো ভোট হয়নি। যারা তৃণমূলের পুরানো লোক বেশিরভাগ যারা সিন্ডিকেট চালায় যারা প্রমোটার যারা টাকা কামিয়েছে তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছে। যারা পাইনি তাঁরা জোর করে দাঁড়িয়েছে এবং জিতেছে। যাদের সব লোকবল আছে তাঁরাই ভোট করায়। যাদেরকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি বুঝতে পেরেছে লোকবল টাকা তাদের কাছেই আছে তারাই ভোটটা করিয়েছে এবং জয়ী হয়েছে।”

শুধু তাই নয়, বিজেপির(BJP) হিমঘরে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ”দেখতে পাবেন যখন নির্বাচন আসবে। যেভাবে নির্বাচনের পরে ৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কর্মীরা সব ভয় পেয়ে গিয়েছেন। ফিফটি পার্সেন্ট কর্মী ইলেকশনে বের হয়নি। স্বাভাবিক ভাবে আবার বের হলে মার খাবেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে সেজন্য বের হয়নি। পরবর্তী সময়ে বেরোবেন পার্টি আবার সক্রিয় হবে।”

Advertisement