বাংলার খবর
আর্থিক অস্বচ্ছলতায় থমকে পড়াশোনা, ছাত্রকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ভারতী ঘোষ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের মেধাবী ছাত্র সুশান্ত পড়িয়া। প্রতিবন্ধী বাবার একমাত্র ছেলে, সামান্য জমি চাষ করেই সংসার চলে। মেধাবী ছাত্র নিজের চেষ্টাতেই ভালো নম্বর পেয়ে কেশপুর কলেজে তৃতীয় বর্ষে অঙ্কে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছে। কিন্তু পরিবারে সেভাবে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় পড়াশোনায় আর এগোনোর সামর্থ্য নেই তাঁর। এই অবস্থায় সহযোগিতার আবেদন জানিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন ওই যুবক। অবশেষে তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষ।
রবিবার মেদিনীপুর শহরে ওই ছাত্রকে ডেকে তাঁর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন ভারতী ঘোষ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে তাঁকে আরও ভালো করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিতও করেন তিনি। যদিও এর আগেও ওই ছাত্রের পড়াশোনা চালানোর জন্য বিভিন্ন রকমের বই ও নানা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছিলেন ভারতী ঘোষ। কলেজের প্রথমবর্ষ থেকেই পড়াশোনার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্য যা সে কিনতে পারছিল না বিভিন্ন সময়ে সে সমস্ত সামগ্রী কিনে দিয়ে উৎসাহিত করেছিলেন তিনি। রবিবার আরও একটি নতুন ল্যাপটপ তার হাতে তুলে দিয়ে পড়াশোনার জন্য উৎসাহিত করেন। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে ED-সদর দফতরে হাজির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এই বিষয়ে ভারতী ঘোষ বলেন,”ছেলেটি খুবই মেধাবী। কিন্তু প্রতিবন্ধী কৃষক বাবার সামর্থ্য নেই তাঁর পড়াশোনার জন্য সমস্ত সহযোগিতা করার। সহযোগিতার আবেদন করেছিলেন। ইতিপূর্বেও তাকে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করতে যে পরিকাঠামো যুক্ত ল্যাপটপের প্রয়োজন সেই ল্যাপটপ পুনরায় তাকে দেওয়া হল। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করা হবে তাকে। এই ধরনের মেধাবীরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক, আরও পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠিত হতে সহযোগিতা করুক আমি সেটা চাই।”
আরও পড়ুন: দলের প্রতি অনাস্থা, BJP ছেঁড়ে তৃণমূলে যোগ ২০০ নেতাকর্মীর
ল্যাপটপ পেয়ে খুশি ওই ছাত্র। এই বিষয়ে ওই ছাত্র বলেন,”সামান্য একটু জমি চাষ করে সংসার চলে। কিন্তু উচ্চ শ্রেণীতে পড়াশোনা করার মত সামর্থ্য নেই আমাদের। ম্যাডাম ইতিপূর্বেও তাই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে আটকে গিয়েছিলাম। পুনরায় জানিয়েছিলাম উনি আমাকে এই ল্যাপটপ দিয়ে উপকার করলেন আবার। আমার পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে ম্যাডামের আশীর্বাদে।”