বাংলার খবর
অগ্নিপথ করে বিজেপি ক্যাডার ও গুন্ডা তৈরির চেষ্টা করছে, বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার অগ্নিপথ নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিপথ প্রকল্প তৈরি করে বিজেপি ক্যাডার ও গুন্ডা তৈরির করার চেষ্টা করছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভায় বাদল অধিবেশনে এই নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘অগ্নিপথ করে বিজেপির ক্যাডার তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। আর্মি ট্রেনিং নয়, আর্মস ট্রেনিং দিচ্ছে। বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার পর চাকরি চলে যাবে। এরাই ভোট লুট করতে সাহায্য করবে। পার্টি অফিসে পাহারা দেবে। বিজেপি আসলে গুন্ডা তৈরি করতেই চার বছরের এই ললিপপ দিয়েছে। কেন্দ্র তরুণদের স্থায়ী চাকরি দিলে আলাদা কথা। কিন্তু, তা না করে বিজেপি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে গুন্ডা তৈরি করার চেষ্টা করছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। এরপরই তাঁরা অধিবেশ কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন।
ভারতের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চার বছরের চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। রবিবার থেকে যন্তর মন্তরে অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রত্যাহারের দাবিতে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেছে কংগ্রেস। হাসপাতালে বিছানা থেকেই আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন অসুস্থ সোনিয়া গান্ধী। সোমবার সকালে আগরতলা থেকে অগ্নিপথ প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অগ্নিপথ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সোমবার বিধানসভায় বাদল অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য, উত্তরপ্রদেশ সরকারের বুলডোজার নীতি সহ একাধিক সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত রোববার মধ্যপ্রদেশ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী বলেছিলেন, ‘বিজেপির পার্টি অফিসে যদি নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হয়, তাহলে আমরা অগ্নিবীরদেরই অগ্রাধিকার দেব।’ কৈলাশ বিজয়বর্গীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।