বাংলার খবর
বিধান নগরের পুর ভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থী!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যের ৪ কর্পোরেশন আসানসোল, শিলিগুরি, চন্দননগর এবং বিধান নগরে নির্বাচন। পুরভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে বিধাননগরে। শনিবার বিধাননগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়ায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগতদের দিয়ে ভোট লুঠ করার চেষ্টা করছে। এবং দলীয় প্রতীক নিয়ে বুথে ঘুরছেন তৃণমূল প্রার্থী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা বেধে যায়। সেই সময় আরও কয়েকজন এসে দু’জনকে আলাদ করার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ঘটনাটি ঘটে বিধাননগর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ নম্বর বুথে। গোটা ঘটনার রিপোর্ট নির্বাচন কমিশন তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কেষ্টপুরের দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে সিপিএম প্রার্থী অলোক রায়কে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর এজেন্টকেও বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে বাম প্রার্থীর অভিযোগ।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবতী বালিকা বিদ্যালয়ের বুথের বাইরে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থী সুশোভন মণ্ডল। পাশাপাশি এদিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনি বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চঞ্চলকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল ভুয়ো ভোটার। এমনটাই অভিযোগ করেছে বিজেপি। তবে, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওই ব্যক্তি বুথ কোথায় জানতে চাওয়ায় তাঁরা শুধু দেখিয়ে দিয়েছেন।