বাংলার খবর
কেন্দুয়া গ্রামে পরিযায়ী পাখির দল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সুদূর সাইবেরিয়া থেকে জামবনির কেন্দুয়া গ্রামে উড়ে এল পরিযায়ী পাখির দল। সারাবছর ওই পরিযায়ী পাখির দিকে তাকিয়ে থাকে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। ওই পাখির দল এলেই গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেন এবার বৃষ্টি আসন্ন।
আরও পড়ুন: বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, স্বস্তি মেলেনি মানুষের
বহুদিন ধরে পরিযায়ী পাখির দল সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে এসে আশ্রয় নেয় ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামে। কেন্দুয়া গ্রামের গ্রামবাসীরা ওই প্রিয় পরিযায়ী পাখির দলকে অত্যন্ত স্নেহ করে এবং ভালোবাসে। তাই ওই পাখির দলের যাতে কোনো ক্ষতি কেউ করতে না পারে তার জন্য গ্রামবাসীরা রাত জেগে পাহারা দেয়। পাখি প্রেমী যতীন্দ্র নাথ মাহাত একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন ওই পরিযায়ী পাখির দলের পরিচর্যা করে। তাঁর বাড়ির পাশেই একটি গাছে এসে ওই পরিযায়ী পাখির দলটি আশ্রয় নেয়। তিনি প্রয়াত হয়েছেন অনেকদিন আগেই, বর্তমানে তাঁর পরিবারের লোকেরা ওই পাখির দলের যত্ন করে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরাও ওই পাখিগুলিকে নিজেদের ছেলে মেয়ের মতো আগলে রাখে।
তবে শুধু ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষ নয় দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ওই পাখির দলকে দেখার জন্য কেন্দুয়া গ্রামে আসেন। এমনকি কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকরা যখন ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসেন সেই সময়, তাঁরা কেন্দুয়া গ্রামে যান পরিযায়ী পাখি গুলিকে দেখতে। বর্ষা শুরুর মুখে ওই পরিযায়ী পাখি গুলি কেন্দুয়া গ্রামে আসে। প্রায় তিন মাস থাকার পর আবার সুদূর সাইবেরিয়া উড়ে যায়। তাসত্ত্বেও প্রতিবছর এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন এবং বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পরিযায়ী পাখিদের নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিকভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে আগামী দিনে এই এলাকা আরো উন্নয়ন হবে।