বাংলার খবর
SSKM-এ ভরতি অনুব্রত, মঙ্গল কামনায় পাহাড়েশ্বর শিব মন্দিরে পুজো তৃণমূলের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চতুর্থবারের পর পঞ্চমবার CBI তলবও এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা Anubrata Mandal। বুধবার সকাল ১১’টায় কলকাতায় CBI দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন সকাল ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ চিনারপার্কের বাড়ি থেকে অনুব্রতের গাড়ি বেরোলেই মা উড়ালপুলে উঠেই গন্তব্য পরিবর্তন করেন তিনি। নিজাম প্যালেসের বদলে সোজা SSKM হাসপাতালে চলে যান অনুব্রত মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, সকাল থেকেই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলেন তিনি। এরপরই তিনি এসএসকেএমে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। রয়েছে পেট ও বুকে ব্যাথা। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের হাজিরা নিয়ে এদিন মুখ খোলেন তাঁর দুই আইনজীবী। তাঁরা জানিয়েছেন, ”CBI চাইলে SSKM-এ এসে কথা বলতে পারবেন। প্রভাবিত না হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।”
আরও পড়ুন: SSKM হাসপাতালে অনুব্রতের গাড়ি, শুরু হয়েছে বুকে ব্যাথা
এদিকে বীরভূমের নেতার বুকে ব্যাথা শুরু হতেই দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ অনুব্রত মণ্ডলের মঙ্গল কামনার জন্য হোমযজ্ঞ করা হল। দুবরাজপুর পাহাড়েশ্বর শিব মন্দিরে।এদিন উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বরুপ আচার্য সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা। এদিকে বীরভূমের জেলা সভাপতি Anubrata Mandal-কে দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেয় SSKM। শুধু তাই নয়, তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে সিবিআই-কে তদন্তে পূর্ন সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর দুই আইনজীবী।
আরও পড়ুন:তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্য মৃত্যুতে FIR দায়ের, শুরু CBI তদন্ত
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় বুধবার সিবিআই তাঁকে তলব করেছে নিজাম প্যালেস। এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারবার তলব করলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একবারও হাজিরা দেননি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। গত ৭ মার্চ অনুব্রতকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। গত ১৪ মার্চ সকাল ১১টায় তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই গ্রেফতার হতে পারেন, এই আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত ১১ মার্চ তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টে রাজশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ। পরে ডিভিশন বেঞ্চেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়।