দেশের খবর
৫০ হাজার ‘ঘুষ’ দিলেই মিলবে ছেলের দেহ, টাকা জোগার করতে দুয়ারে-দুয়ারে ভিক্ষা সন্তানহারা বাবা-মায়ের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা-মা। কিন্তু কাঁদার সময় নেই। কারণ, ছেলেকে শেষবারের মতন চোখের দেখা দেখতে ৫০ হাজার টাকা যোগার করতে হবে যে। মৃত ছেলের শবদেহ হাসপাতালের মর্গ থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সদ্য সন্তানহারা বাবা-মায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করল খোদ সরকারি হাসপাতাল।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় বিহার! জানা গিয়েছে, এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুর জেলায়। সেখানেরই এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। যদিও ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে সমস্তিপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ এস কে চৌধুরী বলেন, “কর্মীরা টাকা চাইতে পারে, কিন্তু ৫০,০০০ টাকা দাবি করতে পারে না।” তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের কর্মীরা। তিনি আরও বলেন, ”অতীতেও টাকা চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করেছি”।
मानवता शर्मसार, फिर भी #NitishKumar जी
का सुशासन का दावा बरकरार!!
https://t.co/E3eV3aSOjV— Prashant Kishor (@PrashantKishor) June 9, 2022
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সমস্তিপুরের বাসিন্দা মহেশ ঠাকুরের বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে গত ২৫ মে বাড়ি থেকে হারিয়ে যায়। এরপর গত ৬ জুন Musrigharari থানা এলাকায় নিখোঁজ ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের দেহ উদ্ধার করে সমস্তিপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে তুলকালাম, ঠোঁটে-নাকে কামড়ে ছাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতী
অভিযোগ এরপরই ঘটে আসল ঘটনা। মহেশ কুমারের আত্মীয়রা হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শবদেহ সনাক্ত করলেও তা পরিবারের হাতে তুলে দিতে নারাজ হয় নগেন্দ্র মল্লিক নামের এক হাসপাতাল কর্মী। মৃতের দেহ পরিবারের হাতে দেওয়ার জন্য সে মৃতের বাড়ির লোকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
এদিকে এই ঘটনায় যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডিএম বিনয় কুমার বলেন, ”গত ৬ জুন মরদেহ উদ্ধার করে মুসরিঘররি থানা পুলিশ। পরদিন স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করতে হয়েছে। তাই অভিযোগ উঠেছে”।
আরও পড়ুন:প্যারাসিটামল-সহ ১৬ ওষুধ কিনতে আর প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন পরবে না
এদিকে অসহায় ওই বৃদ্ধ দম্পতি অঝোরে কেঁদে চলেছেন। তাঁদের একটাই দাবি, সন্তানের দেহ তাঁরা শেষবারের মতো দেখতে চান। তাই ঘুরছেন এলাকাবাসীর দরজায় দরজায়। চাইছেন ভিক্ষা। কোনও মতে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেই তাঁরা ছুটে যেতে চান হাসপাতালে। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের উপর প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।