সিবিআই-এর FIR এ বড় ভুল, কেন্দ্রীয় সংস্থার দায়িত্ববোধ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এসএসসি-এর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইএ-এর করা এফআইআর-এ বড়সড় গলদ। বৃহস্পতিবার বিকালে সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছে তাতে পরেশ অধিকারীর নামের পাশে তাঁর পদ লেখা হয়েছে ‘মিনিস্টার ইনচার্জ, ডিপার্টমেন্ট অফ স্কুল এডুকেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল’। কিন্তু পরেশ অধিকারী হলেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী অর্থাৎ ‘মিনিস্টার অফ স্টেট’। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী (মিনিস্টার ইনচার্জ) হলেন ব্রাত্য বসু। এই রকম একটি স্পর্শকাতর মামলায় যিনি মূল অভিযুক্ত, সেই পরেশ অধিকারীর পদ ভুল লেখায়, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আদালত ও রাজনৈতিক মহলে যে বড় রকমের চর্চা হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী বেআইনিভাবে স্কুলে চাকরি পাওয়ার মামলায় গত বুধবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবং কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে গত বুধবার রাত আটটার মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইমতো গত ১৭ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে কন্যাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে চাপেন পরেশ অধিকারী। রেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকেও সে কথা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু ১৮ তারিখ অর্থাৎ বুধবার ভোররাতে হঠাৎই কন্যাকে নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান মন্ত্রী। সেই ভিডিও ফুটেজও সামনে এসেছে। এরপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপরই বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। তখন মন্ত্রীর আইনজীবী আদালতকে জানান মন্ত্রী তাঁকে নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি কোচবিহারে রয়েছেন। এবং বিকেল পাঁচটা নাগাদ তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছাবেন। বিকেল তিনটের হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। আর অতি তৎপরতা দেখাতে গিয়েই এফআইআর-এ সিবিআই অভিযুক্ত মন্ত্রীর পদ ভুল উল্লেখ করে বসে।