দেশের খবর
এর থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো… হোয়াটসঅ্যাপ স্টেট্যাস দেওয়ার পরই চরম পরিণতি ৩ গৃহবধূর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ”এ ভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে, মরে যাওয়া অনেক ভালো”। নিজের হোয়াটসঅ্যাপে এমন স্টেট্যাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কুয়ো থেকে উদ্ধার হল ৩ গৃহবধূর দেহ।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুর শহরের ডুডু এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই ৩ গৃহবধূ সম্পর্কে তাঁরা ৩ বোন। অনেক ছোটোবেলায় তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি এবং মদ্যপ স্বামীর হাতে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের শিকার হতেন তাঁরা।
মৃত ওই তিন গৃহবধূর নাম-কালুদেবী(২৭), মমতা(২৩) এবং কমলেশ(২০)। শুধু তাই নয়, ওই পাতকুয়ো থেকে তাঁদের দুই সন্তানের মৃতদেহও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যারা কালুদেবীর সন্তান বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ৪ বছর এবং অপরজনের বয়স মাত্র ২৭ দিন। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর চাউর হতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: অযোধ্যা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৭, জখম বহু
জানা গিয়েছে, মমতা এবং কমলেশও গর্ভবতী ছিলেন। আর তার কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেছিলেন কালুদেবী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তিন বোনই কঠোর পরিশ্রম করত। তাঁরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছিল।
মৃতদের মধ্যে মমতা রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিলেন। কালুদেবী বি.এ তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন এবং কমলেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
গার্হ্যস্থ হিংসার শিকার মৃত ওই তিনবোন। জানা গিয়েছে ২০০৩ সালে নাবালিকা বয়সেই তাঁদের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর থেকেই মদ্যপ স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের অত্যাচারের শিকার ছিলেন তাঁরা। এমনকি গৃহবধূদের উপর অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, দিন ১৫ আগে চোখের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কালুদেবীকে। এছাড়াও ফোনে কথা বলার অপরাধে দিন কয়েক আগে স্বামীর হাতে প্রহৃত হতে হয়েছিল ছোটো বোন কমলেশকে।
আরও পড়ুন: বিবাহ যোজনা প্রকল্পের টাকা নিতে অভিনব ফন্দি কংগ্রেস ছাত্রনেতার
এদিকে গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত তিন ভাই Narsi, Goryo এবং Mukesh-কে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। কেন এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছেন পুলিশ।