বাংলার খবর
৬২৬ বছরে পা মাহেশের রথযাত্রা, শুরু হল স্নানযাত্রা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত দুবছর বন্ধ ছিল রথযাত্রা, করোনা অতিমারি পর্ব পেরিয়ে এবার ঘুরবে মাহেশের রথের চাকা। আগামী ১৬ই আষাঢ় রথযাত্রা উৎসব। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় চন্দন উৎসবের ৪২ দিনের মাথায় পালিত হয় স্নানযাত্রা। শ্রীরামপুরের মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্নানপিঁড়ির মাঠে ধুমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব। প্রতি বারই বহু ভক্তের সমাগম হয় সেখানে।
অক্ষয় তৃতীয়ায় চন্দন উৎসবের ৪২ দিনের মাথায় হয় স্নানযাত্রা। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্নান পিঁড়ির মাঠে ধূমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব। বহু ভক্তের সমাগম হয়। গত দুবছর সেই উৎসবে ছেদ পরেছিল। তবে এবার স্নানযাত্রা হচ্ছে রীতি মেনে। আজ সকালে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে বের করা হয়। পুজো পাঠের পর দুপুরে স্নান পিড়ির মাঠে হয় স্নানযাত্রা।
দুধ আর আঠাশ ঘরা গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথদেবকে। বিশ্বাস, স্নানের পর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে জগন্নাথের। এর পর সেই মূর্তি লেপ, কম্বল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। এর পর শুরু হয় ‘অঙ্গরাগ’। ভেষজ রং দিয়ে রাঙানো হয় জগন্নাথকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় গর্ভগৃহের দরজা। কথিত আছে, কবিরাজের পাঁচন খেয়ে অবশেষে জ্বর সারে। তারপর শুরু হয় ‘নবযৌবন উৎসব’। এরপর দিন রথে চড়ে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। মাহেশের রথযাত্রায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় প্রতি বছর। এ বার ওই উৎসব ৬২৬ বছরে পড়ল।
৩০ জুন ভগবান জগন্নাথের চোখ খোলার আনুষ্ঠান পালন করা হবে। এর পরে, ভগবান তাঁর রথে চড়ে ১ জুলাই দর্শন করবেন এবং তীর্থযাত্রার বের হবেন। এই বছর ১৪ জুন সন্ধ্যায় দেবতাকে আরোগ্য করার জন্য ক্বাথ নিবেদন করা হবে। এই সময় ভক্তদের প্রতিমা দর্শন করতে দেওয়া হবে না। ভগবানের অবস্থা জানতে আগত ভক্তরা বাইরে থেকে পূজা দিতে পারবেন।