বাংলার খবর
পিঠে গুলি নিয়েই ছুটলেন বশির, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন সরফরাজ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুক্রবার বিকেলে পার্ক সার্কাসে পুলিশকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন কলিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ বশির আলম ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ সরফরাজ। বশিরের পিঠে গুলি লাগলেও সরফরাজের আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। সেখানেই তাঁদের পরবর্তী চিকিৎসা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে লোয়ার রেঞ্জ রোড ধরে নিউটাউনে কাজে যাচ্ছিলেন বশির। তিনি ১৩ নম্বর লোয়ার রেঞ্জের কাছে পৌঁছতেই বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের আউটপোস্টে কর্মরত কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কনস্টেবল চোডুপ লেপচা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। তখনই একটি গুলি এসে লাগে বশিরের পিঠে। গুলির শব্দে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পিঠে গুলি লাগা অবস্থাতেই বাইক নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেন বশির। পিঠ থেকে রক্ত ঝরছে দেখে পার্কসার্কাস মোড়ে তাঁকে দাঁড় করান কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে ভিড় জমে যায়। বশিরকে তড়িঘড়ি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সে করেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে। বর্তমানে বশির স্থিতিশীল আছেন বলেই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওই পুলিশকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় আহত হয়েছেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ সরফরাজ। তবে তাঁর আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁকেও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে। তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকেলের এই হাড়হিম করা ঘটনায় পার্ক সার্কাস, কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পুলিশকর্মী আত্মঘাতী হওয়ার পাশাপাশি তাঁর ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বাইক আরোহী এক মহিলারও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার দাশনগর নিবাসী মৃতা ওই মহিলার নাম রিমা সিং। দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে। গোটা ঘটনায় এখনও থমথমে পার্ক সার্কাস চত্বর।