দেশের খবর
মহুয়া মৈত্রর তথ্য কে কেন্দ্র করে, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে হিন্ডেনবার্গ
মহুয়া মৈত্র আরো বলেন, যদি আদানি গোষ্ঠীর তদন্ত জারি থাকতো, সে ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠী কিভাবে আবার FPO (Follow on Public Offer) করার অনুমতি পেলো? যেখানে আদানি গোষ্ঠীর তরফে ২০ হাজার কোটি টাকার আহবান জানানো হলো।

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: কথায় আছে, “গায়ের ফকির ভিক্ষা পায় না” বিষয় টা নিন্দা জনক প্রতিরূপ দিলেও, আজ এই কথার ঠিক সংমিশ্রণ সামনে এলো, বিশ্বগুরু ভারতের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে দীর্ঘ দিন বেপাত্তা দিলেও, যখন আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কোম্পানি একই তথ্য সামনে আনে তখন জয়জয়কার, নিবেশকারীদের তখন মনে পরেছে। যাইহোক,
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র জুন, ২০২১ এ সেবি (sebi) কে চিঠি লিখেছিলেন এবং সেখানে তিনি বলেন ” আদানি গ্রুপে যে সমস্ত বিদেশি কোম্পানি টাকা নিবেশ করেছে সেই কোম্পানিগুলির সঠিক কোন তথ্য নেই এমনকি সেই কোম্পানিগুলির সাথে আদানি গোষ্ঠীর দীর্ঘ দিন কোন লেনদেন হয়নি, তাহলে সেই কোম্পানিগুলির টাকা কার বা কাদের টাকা”? এই বিষয় নিয়ে তখনই মহুয়া মৈত্র সেবি কে তদন্ত করার অনুরোধ জানান কারন এই টাকা লেনদেনের সঠিক তথ্য সামনে না আসলে ভারতীয় বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, তখন সেবি তাদের উত্তরে বলেন তদন্ত চলছে, যদিও সেই তদন্তের কোন অফিশিয়াল বয়ান সেবি এখনো জানায়নি।
আর আপনি জানলে অবাক হবেন যে গৌতম আদানি কে বিশ্বের ধনী তালিকার ৩ থেকে সোজা ১১ নম্বরে নিয়ে আসা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কোম্পানি, তাদের রিসার্চে মহুয়া মৈত্রের এই তথ্যকে, এবং সেবির মুখ বন্ধের কারন কে মূখ্য ভূমিকায় এনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বিদেশি কোম্পানির নাম দিয়ে, নিজেদের টাকাই নিবেশ করে , আদানি গ্রুপ তাদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ তৃনমুল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, অর্থমন্ত্রী, সেবি এবং ইডিকে একত্রে চিঠি পাঠান যেখানে তিনি বলেন, দ্রুত আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের তদন্ত করা হোক এবং সেই রিপোর্ট সামনে আনা হোক।
শেয়ার বাজারে গোল গোল করে নিজেদের টাকা ঘুরিয়ে মুনাফা কামানোর অভিযোগ করা হয়েছে। মহুয়া মৈত্র তার টুইটে বলেন, আমার কথা কেউ কি শুনতে পাচ্ছে নাকি সবাই কাঁচের ঘরে যেখানে আওয়াজ পৌঁছায় না। তার দাবী, এই মুনাফা কামানো কোম্পানিগুলি কে ও কারা? এই ধরনের একাধিক বিষয় নিয়ে মাননীয়া সাংসদ পার্লামেন্টে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। ১৯ জুলাই, ২০২১ অর্থমন্ত্রী তার জবাবে বলেন, সেবি ও ডি. আর.আই এই তদন্ত করছে যা এখনো পরিস্কার নয়। অতঃপর এবারের চিঠিতে মহুয়া বলেন, ” আদানি CFO এর দেওয়া বার্তায় এমন মনে হচ্ছে যে, সেই তদন্ত হয়তো শেষ হয়েছে! আদানি গ্রুপ আদলতে জয়ী হয়েছে অথবা সেবি তাদের সেই তদন্ত থেকে ছুটি দিয়েছে। আমি জানতে চাই কবে এই তদন্ত শেষ হলো আর তার রিপোর্টে কি বলা হলো?”। মহুয়া মৈত্র আরো বলেন, যদি আদানি গোষ্ঠীর তদন্ত জারি থাকতো, সে ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠী কিভাবে আবার FPO (Follow on Public Offer) করার অনুমতি পেলো? যেখানে আদানি গোষ্ঠীর তরফে ২০ হাজার কোটি টাকার আহবান জানানো হলো।
উল্লেখ, ২০২২ সালে এক আন্তর্জাতিক ব্যাবসায়ী সম্মেলনে গৌতম আদানি পশ্চিমবঙে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলাপচারিতা করেন এমনকি বাংলায় শিল্পায়ন নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়। যেখানে দলনেত্রী রাজ্যের শিল্পায়ন নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর সাথে রয়েছেন সেখানে সাংসদ মহুয়া মৈত্র কি স্রোতের বিপরিতগামী! বা স্রোতের তোয়াক্কা করেন না ?