বাংলার খবর
সুস্থ শরীরে যোগ দিয়েছিলেন কাজে, কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরল CRPF জওয়ানের দেহ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ডিউটিতে যোগ দিয়েছিলেন পায়ে হেঁটে। বাড়িতে এলেন কফিনবন্দি হয়ে জওয়ানদের কাঁধে। গোড়াবাড়ির বাসিন্দা অমিত সিট। ২০০৬ সালে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সিআরপিএফ(CRPF) বাহিনীতে। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী দুই মেয়ে সহ বাবা-মা, ভাই, বৌদি আরও অনেকে।
জানা গিয়েছে, অমিত সিট ছিলেন ৯৮ ব্যাটেলিয়ানের সিআরপিএফ কস্টেবল। ১০ জুলাই কর্তব্যরত অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অমিত। তড়িঘড়ি তাকে শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘ চিকিৎসার পর জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে হার মানেন অমিত সিট। গত ১৩ জুলাই শ্রীনগর থেকে দিল্লি হয়ে প্রথমে দমদম এবং বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ তাঁর কফিনবন্দী দেহ নিয়ে আসা হয় অমিতের গোড়াবাড়ির বাড়িতে।
আরও পড়ুন: সামান্য বিয়োগ করতে গিয়ে নাজেহাল শিক্ষক, উত্তর দিয়ে অস্বস্তি বাড়াল দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র
গ্রামের সেই হাসি খুশির ছেলেটা আজ ফিরছেন কফিনবন্দি হয়ে। সিআরপিএফ জওয়ানদের পক্ষ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় গোড়াবাড়ির বাড়িতে সেখানে কিছুক্ষণ রেখে তারপর গোড়াবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি প্রাঙ্গনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সম্মান জ্ঞাপনের জন্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছিল একটি মঞ্চ। সেখানে সিআরপিএফ আধিকারিক এবং জওয়ানরা পুষ্প স্তবক দিয়ে তাদের সহকর্মীকে। পর গ্রামবাসীরা পুষ্প স্তাবক দিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
অমিত সিটের এক সহকর্মী তপন দত্ত বলেন, ”অমিত এর আগেও একবার অসুস্থ হয়েছিলেন। তাদের ব্যাটেলিয়ান চিকিৎসায় ঠিক হয়ে যায়। পেটে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয় অমিত। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় পরপর পাঁচটি হাসপাতালে পরিবর্তন করা হয় অমিতকে।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, অফিস টাইমে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
শ্রীনগর থেকে এয়ার বাসে করে দিল্লি নিয়ে যাওবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি এতটাই হয়েছিল যে তাকে এয়ার বাসে করে দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল না। তারপর ইমারজেন্সি ইনজেকশন দিয়ে তাকে শ্রীনগর শহরের সবথেকে বড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৩ জুলাই রাত একটা সময় শ্রীনগরের হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে অমিত। ছেলে হিসেবে অমিত খুবই ভালো ছিল। কর্তব্য পরায়ণ এবং একনিষ্ঠ সৈনিক ছিলেন অমিত”।