টোটো চালক প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক স্ত্রীর ফেরার অপেক্ষায় বাগদার নকুল
Connect with us

বাংলার খবর

টোটো চালক প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক স্ত্রীর ফেরার অপেক্ষায় বাগদার নকুল

Raju Dhara

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: টোটো চালক প্রেমিকের সঙ্গে পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী। এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও বাড়ি ফেরেনি স্ত্রী পবিত্রা। প্রতিবেশীরা যে যাই বলুক, পবিত্রার হতভাগ্য স্বামী নকুল পালের বিশ্বাস তাঁর স্ত্রী ঠিক একদিন তাঁর কাছে ফিরে আসবেই। আর স্ত্রী ফিরে এলে তাঁকে আবার ভালোবেসে আঁকড়ে ধরবেন বলেও জানিয়ে দিলেন নকুল। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে যে ভালোবাসা ছিল, তাতে আমার স্ত্রী ফিরে আসবেই। অন্তত আমাদের ছেলের জন্য আমার স্ত্রী আমার কাছে ফিরে আসবেই। এটা আমার বিশ্বাস। আর ফিরে এলে আবার আমরা আগের মতো একসঙ্গে ছেলেকে নিয়ে সুখে সংসার করব।’

কর্মসূত্রে বেশ কয়েক বছর ধরেই পুনেতে রয়েছেন নকুল। সন্তানকে নিয়ে টোটোচালক প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার খবর প্রথম বাবার কাছ থেকেই শুনেছেন নকুল পাল। ছ’মাস আগেই শেষবার বাড়ি এসেছিলেন তিনি। তখনও এই ব্যাপারে কিছু বুঝতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন নকুল। আবার বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। এর মধ্যেই পেলেন এই খবর। তাই আর বাড়ি ফেরেননি নকুল। পুনেতে বসেই স্ত্রীর অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। জানিয়েছেন, ‘বাড়িতে ফিরে আর কী করব! ছেলে, স্ত্রী কেউ ঘরে নেই। তার উপর প্রতিবেশীরা নানান কথা বলবে। শুনতে ভালো লাগবে না। তাই এখন আর বাড়ি যাব না। যদি স্ত্রী আবার ফিরে আসে, তবেই বাড়িতে ফিরব।’

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলপোতা গ্রামের পাল বাড়ির দুই গৃহবধূ মিঠু পাল ও পবিত্রা পাল দুই টোটো চালক বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদারের সঙ্গে গত শনিবার বিকালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। মিঠু বাড়ির মেজবউ এবং পবিত্রা ছোট বউ। টোটোয় যাতায়াত করতে গিয়েই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদারের সঙ্গে। শিবুর আবার সিন্দ্রানি বাজারে চালের দোকানও আছে। পরে সেই বন্ধুত্বই প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়। আর সেই প্রেমের টানেই দুই টোটো চালকের হাত ধরে ঘর-সংসার ছাড়লেন দুই গৃহবধূ। তবে শিবুর সঙ্গে ঘর থেকে পালানোর সময় পবিত্রা তাঁর পাঁচ বছরের সন্তানকেও সঙ্গে নিয়ে যান।

Advertisement

জানা গিয়েছে, টোটো চালক শিবুর চালের দোকান থেকেই চাল আসত পাল বাড়িতে। দুই পরিবারের পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। শিবুর মেয়ে নকুল-পবিত্রার ছেলেকে ভাইফোঁটাও দিত। পবিত্রার সঙ্গে তাঁর স্বামীর একটা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে পাল বাড়িতে এসে অভিযোগও জানিয়েছিল শিবুর স্ত্রী। দু’জনের বিয়ে দিয়ে দেবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা কোনভাবেই হতে দেবেন না বলে এদিন জানিয়েছেন পবিত্রার স্বামী নকুল। যেনতেন প্রকারে স্ত্রীকে খুঁজে দেওয়ার জন্য পুনে থেকেই বাগদা থানার পুলিশের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। কবে স্ত্রী-সন্তান ফিরে আসবে, এখন সেই অপেক্ষাতেই দিন কাটাচ্ছেন নকুল।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.