ভাইরাল খবর
স্পিকারের বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন বাবুল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অবশেষে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন আসানসোলের সাংসদ। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে সময় চাইছিলেন বাবুল।
গত মাসের শেষের দিকে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ব্যস্ত থাকায় তাঁর সময় পাননি বাবুল। তিনি দু’বার চেষ্টা করেও স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। গত রবিবারই বেঙ্গল এক্সপ্রেস জানিয়েছিল যে মঙ্গলবার ইস্তফা দেবেন বাবুল। তারপর গতকাল বাবুল টুইট করে জানান, মঙ্গলবার স্পিকার তাঁকে সময় দিয়েছেন। সেই মতো আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্পিকারের বাড়িতে পৌঁছন বাবুল। এদিন ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বাসভবন থেকে বেরোনোর পর বাবুল জানিয়েছেন, সাংসদ পদ ধরে রাখাটা অনৈতিক মনে হয়েছিল বলেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
সেইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি আসানসোল নিয়ে তাঁর আবেগ ও ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন দু’বারের সাংসদ বাবুল। তিনি বলেছেন, ‘আসানসোল আমার জন্য বিশেষ জায়গা। আসানসোলের প্রতি আমার আলাদা দায়িত্ব আছে।’ তারপরেই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বাবুল বলেছেন, ‘শুভেন্দুর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে। উনি আমার সম্পর্কে কড়া ভাষায় কথা বলেন, কারণ ওটা রাজনীতির স্বার্থে ওকে করতেই হবে। আমি নৈতিকভাবে ঠিক থাকতেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিলাম। শুভেন্দুর বাবারও উচিৎ সেটাই করা।
শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন।’ যাঁর পরামর্শে রাজনীতিতে এসেছিলেন সেই বাবা রামদেবের সঙ্গেও হরিদ্বারে গিয়ে দেখা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের এদিনের ইস্তফার পর আসানসোলে কবে উপনির্বাচন হয় সেটাই এখন দেখার। আর সেখান থেকে এবার তৃণমূলের টিকিটে বাবুল প্রার্থী হন কিনা, সেই দিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।