রাজনীতি
নিজের লেটারহেডে ‘প্রাক্তন’ লিখে আবারও শুভেন্দুকে কটাক্ষ বাবুলের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : গত মঙ্গলবারই দিল্লিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপরও তার দল ছাড়াই কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। তার জবাব মুখে দিলেও এবার খাতায়-কলমে উত্তরটা দিলেন আসানসোলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া নিজের লেটারহেডের একটি ছবি পোস্ট করেছেন বাবুল। সেখানে ছাপা অক্ষরে লেখা ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’ এর আগে পেন দিয়ে ‘এক্স’ অর্থাৎ প্রাক্তন কথাটি লিখেছেন।
শুধু তাই নয়, বন্দর ও জাহাজ মন্ত্রক এবং জলপথ কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য লেখাটিও পেন দিয়ে কেটে দিয়েছেন বাবুল। মঙ্গলবার দিল্লিতে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরও শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করে তার বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারি সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এদিনের এই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টটা অধিকারী পরিবার সহ বিজেপি সমালোচকদের উদ্দেশ্যেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ওই পোস্টে বাবুল লিখেছেন, ‘ছোট বেলায় শুনেছিলাম, যদি নিজের মন ও হৃদয় বলে যে, কেউ অন্যায় ভাবে তোমাকে দশ টাকা জরিমানা করেছে, তাহলে জরিমানাটা না দিয়ে আদালতে লড়াই করো, দরকার হলে একশো টাকা খরচ করে সেই জরিমানা ফেরত করাও। অন্যায় ভাবে করা জরিমানা, যে যাই বলুক, কখনওই তা মেনে নেবে না। মেনে নিইনি, আর তাই আড়াই বছর বাকি থাকা সত্ত্বেও বিজেপির হয়ে জেতা সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে একটুও দ্বিধা করিনি।
১৯৯২ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের নিরাপদ চাকরি ছেড়ে বম্বে যাওয়ার সময়ও আমি ভয় পাইনি, আজও পাইনা।’ এরপরই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বাবুল লিখেছেন, ‘বিজেপি থেকে যিনি আমাকে নৈতিকতার জ্ঞান দিচ্ছেন তাঁকে বলবো, নিজের বাড়ির অন্দর থেকে পাঠটা শুরু করতে। আর শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে আমি যা করতে পেরেছি তা আগে করে দেখাতে, তারপর যা বলার বলবেন। কাঁকড়ায় ভরা একটি দল, যারা নিজেদের প্রকৃত কর্মীদের সাথে নির্লজ্জ বিশ্বাসঘাতকতা বেইমানি করে আর বহিরাগতদের চার্টার্ড প্লেনে চড়ায়, সেই বিজেপির জন্য ২০১৪ সাল থেকে যেটুকু করেছি তাতেও আমি যেমন গর্বিত, আজ অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আড়াই বছর বাকি থাকতেও বিজেপির টিকিটে বিজেপির জন্য জেতা সাংসদ পদ নির্দ্বিধায় ছেড়ে দিতে পেরেও আমি সমান গর্বিত। আসানসোলবাসীকে বলব, আপনারা বিজেপির ধান্দাবাজগুলোর কথায় কান দেবেন না – রাজনীতিতেও ঢুকবেন না।
আমি আপনাদের ছিলাম, আছি থাকবো। আর আগামী দিনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, যিনি অত্যন্ত স্নেহের সাথে আমাকে সব ভুলে শুধুমাত্র বাংলার মানুষের কাজ মন দিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করে আবার পাবলিক সার্ভিসে ফিরিয়ে এনেছেন, তাঁর নেতৃত্বে আরও অনেক কাজ করে দেখাবো। আপনারা আমার জন্য সবসময়েই স্পেশাল ছিলেন ও থাকবেন। আপনাদের জন্য সবসময়েই অতিরিক্ত কিছু না কিছু করার চেষ্টা করবো।’