বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে অবশেষে ১০ ঘণ্টা পর হাওড়া থেকে উঠল অবরোধ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে কাজ হল। ১০ ঘণ্টা পর হাওড়ার ডোমজুড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে উঠল অবরোধ। যান চলাচলও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই অবরোধের জেরে একটা সময় যানজট পৌঁছে গিয়েছিল নবান্নের দোরগোড়ায়। মহম্মদ পয়গম্বর নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে দেশে-বিদেশে জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যেও।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়ায় রাস্তা অবরোধ শুরু হয়েছিল। দুপুরে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য নবান্ন থেকে হাত জোড় করে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর রাতে উঠল অবরোধ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে অঙ্কুরহাটিতে অবরোধ হয়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় অবরোধ। সন্ধের মধ্যে জাতীয় সড়ক এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এই অবরোধের জেরে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় অফিস ফেরত যাত্রীদের। দীর্ঘক্ষণ ধরে গাড়ির চাকা না গড়ানোয়, গাড়ির মধ্যেই অপেক্ষা করতে হয় সকলকে। অবরোধের জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। হাওড়া ব্রিজের উপর গাড়ির চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। হাওড়া ব্রিজ ও নিবেদিত সেতু দিয়ে সমস্ত গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন অবরোধকারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ তখন বাংলায় কেন অবরোধ? দিল্লির সরকারের বিরুদ্ধে যখন রাগ- বিক্ষোভ, তখন বাংলায় কেন অবরোধ? যারা অবরোধ করছেন তাঁরা দিল্লি বা বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে অবরোধ করুন। কয়েকজন করে থানায় থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখুন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ দাবি করুন। আমাদের সমর্থন থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শান্তি চাই। বিজেপি অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সেই ফাঁদে কেন আপনারা পা দিচ্ছেন। এতে তো মানুষ আপনাদের ভুল বুঝছে। আমার অনুরোধ অবরোধ তুলে নিন। মানুষকে ঘরে ফিরতে দিন। রাস্তা অবরোধ করবেন না। এত মানুষের সমস্যা তৈরি করবেন না। অবরোধ করে জনজীবনের সমস্যা তৈরি করা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়, রাজ্য সরকারের নীতিও অবরোধের বিরুদ্ধে। আমাকে খুন করার ইচ্ছা হয়েছে? খুন করে যান। আমি হাসতে হাসতে মরতে পারব। কিন্তু বাংলায় কোনও অশান্তি ছড়াবেন না। দিল্লিতে একটা ঘটনা ঘটেছে, তারজন্য বাংলাটাকে তছনছ করবে? আমি চাইলে পুলিস দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে ওঠাতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটা করব না।’