বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পকোড়া খাওয়া ছেড়ে শরীরচর্চায় মন দিলেন ঝালদার চেয়ারম্যান
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ ও নির্দেশেই এবার পকোড়া খাওয়া ছাড়লেন ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগারওয়াল। সেইসঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা করার পাশাপাশি প্রাণায়ম শুরু করেছেন তিনি।
পুরুলিয়ায় রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী ঝালদার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালকে চেপে ধরেন তাঁর ভুড়ি নিয়ে। ভুঁড়ি নাকি মধ্যপ্রদেশ! সকলের সামনে এই কথা বলে ব্যঙ্গ করেন। চেয়ারম্যানকে ভুঁড়ি কমানোর পরামর্শও দেন তিনি। বলেন ব্যায়াম করার কথাও। ততক্ষণে সুরেশ আগরওয়াল হচকচিয়ে সকলের সামনে দেখাতে শুরু করেন ডেমো। দেখেই মমতা বলেন, ‘এ তো আপনি প্রাণায়ম করছেন!’ তখন দেখা যায় সুরেশ পেট নাচাচ্ছেন। হাসতে হাসতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ তো কপালভাতি করছেন! দিনে কত বার করেন?’ সুরেশ জবাব দেন, ‘দিদি, এক হাজার বার!’ তিনি বোধহয় ভেবেছিলেন, বললেই মুখ্যমন্ত্রী মেনে নেবেন। কিন্তু না, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঞ্চে ১ হাজার বার করে দেখাতে পারলে তাঁকে দেওয়া হবে দশ হাজার টাকা। এরপর যুক্তি দেখিয়ে কোনওক্রমে নিস্তার পান সুরেশ। রোজ সকালে পকোড়া খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁর। সেই শুনে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ কপালে ওঠে। তাঁর ১২৫ কেজি ওজন শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পকোড়া ছেড়ে সিদ্ধ ভাত খাওয়ার এবং খাওয়ার পরে এক কিলোমিটার করে হাঁটার পরামর্শ দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে চলা শুরু করেছেন সুরেশ আগরওয়াল। রোজ সকালে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি পকোড়া খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। ঝালদার চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমার ভালোর জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন।আমি তাঁর নির্দেশ মেনে নিয়েছি। আমি এখন রোজ সকালে শরীর চর্চা করছি। পকোড়া খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি। প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা প্রাণায়ম, ব্যায়াম করছি। আশা করছি এবার ওজন কমবে। তবে এক বা দুই দিনে তো বোঝা যাবে না। ১৫ দিন পর বুঝতে পারব। শরীর চর্চার মধ্যে থাকলে শরীর ভালো থাকে। আর এতে আমার বাড়ির লোকেরাও খুব খুশি।’