দেশের খবর
৫৮ বছর বয়সে ফার্স্ট ডিভিশনে ম্যাট্রিক পাস করে তাক লাগিয়ে দিলেন বিধায়ক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কথাতেই আছে শেখার কোনও শেষ নেই। তেমনই, লেখাপড়ারও কোনও বয়স হয় না। বয়স যে নেহাতই সংখ্যামাত্র এবং ইচ্ছা ও মনের জেদ থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ওড়িশার বিধায়ক অঙ্গদ কানহার। বিএসই ওড়িশা ম্যাট্রিক পরীক্ষায় রীতিমতো ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হলেন ৫৮ বছর বয়সী এই বিধায়ক। ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় পাস করেছেন বিজেডি-এর হয়ে ফুলবনি কেন্দ্র থেকে জয়ী অঙ্গদ কানহার। গত বুধবারই ওই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে ওড়িশা সরকার। পাঁচ লক্ষেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ফল বেরোনোর পর দেখা গিয়েছে, ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস করেছেন বিজেডি বিধায়ক। ৫০০ এর মধ্যে তিনি ৩৬৪ নম্বর পেয়েছেন তিনি।
১৯৭৮ সালের মেট্রিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল অঙ্গদ কানহারের। কিন্তু পারিবারিক সমস্যা এবং অর্থনৈতিক কারণেই সেবার পরীক্ষায় বসা হয়নি। এরপর পঞ্চায়েতে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবে হাল ছাড়েননি তিনি। পাশাপাশি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিও চালিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে এই বছর তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় বসেন। এবং ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
কানহারের আশা, তাঁর এই সাফল্য আরও অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে। যাঁরা বিভিন্ন কারণে মাঝ পথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁকে দেখেই আবার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে এগিয়ে আসবেন। তাঁর এই সাফল্য বাকিদেরও পথ দেখাক, এইটুকুই চান তিনি। তবে ম্যাট্রিক পাস করেই তিনি থেমে থাকতে চান না। তিনি আরও পড়াশোনা করতে চান বলেই জানিয়ে দিয়েছেন ‘পড়াশোনার কোনও রিটায়ারমেন্ট হয় না’ বলেই মনে করা বিজেডি-এর বিধায়ক অঙ্গদ কানহার।
গত ৬ জুলাই বিএসই ওড়িশা ম্যাট্রিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে। ৫.৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তারমধ্যে, ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৪৭ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৯০.৫৫ শতাংশ। এরমধ্যে মহিলাদের পাসের হার ৯২.৩৭ শতাংশ। এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮৮.৭৭ শতাংশ। তারমধ্যেই ফার্স্ট ডিভিশন পেয়ে পরীক্ষায় পাশ করেছেন অঙ্গদ কানহার।