দেশের খবর
লাঞ্চে গো-মাংস! কাঠগড়ায় সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: স্কুলে লাঞ্চের জন্য বাড়ি থেকে গো-মাংস রান্না করে এনে বিতর্কে জড়ালেন খোদ সরকারি স্কুলের এক প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনায় সহকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে থানায়।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গোয়ালপাড়া জেলায়। এই বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মৃণাল ডেকা বলেন, “ওই প্রধান শিক্ষিকাকে ভারতীয় দন্ডবিধির 153A (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং 295A (ইচ্ছাকৃত এবং খারাপ কাজ) এই দুই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী ধর্ম বা ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করে কোনও শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে ওই সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।”
এদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে লক্ষীপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গোয়ালপাড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে স্কুলের একজন কর্মী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে দুপুর ৩.৩০ মিনিট নাগাদ লাঞ্চ টাইমে বাড়ি থেকে রান্না করে আনা গো-মাংস প্লেটে বেড়ে দিতে বলেন। সেই সময় সেখানে ২ জন হিন্দু শিক্ষিকাও উপস্থিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি সে সবের তোয়াক্কা না করেই সবার সামনে ওই খাবার খান।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় বড় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের, পেরারিভালনকে মুক্তির নির্দেশ
যদিও অসমে গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে ২০২১ সালে পাস করা গবাদি পশু সংরক্ষণ আইন অনুসারে, এটি পশু পরিবহনে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আইনে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় মাংস বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেখানে গরুর মাংস না খাওয়া সম্প্রদায়ের আধিপত্য রয়েছে।
