দেশের খবর
অতিভারী বৃষ্টিতে বন্যাপরিস্থিতি অসমে, জলের তলায় বহু জেলা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অতিবৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমের একাধিক জেলায়। সোমবার প্রবল বর্ষণে নগাঁও জেলার কামপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা ‘ANI’ সূত্রে খবর, অসমের কপিলি নদীর বন্যার জলে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও ফসলের জমি ডুবে গিয়েছে। অতিভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে অসমের। জানা গিয়েছে, নগাঁও জেলাতে কপিলি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে অসমে প্রবল বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
#WATCH | Amid heavy downpour, flood-like situation continues in Assam. Visuals from Nagaon's district's Kampur area. pic.twitter.com/9C96ETG44M
— ANI (@ANI) May 16, 2022
অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক সদস্য জানিয়েছেন, যেভাবে নদীর জলস্তর বাড়ছে তাতে গাঁও জেলার অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থায় তাঁরা এই জেলার বিপদসঙ্কুল এলাকায় আটকে পড়া ৭০-৮০ জন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
আরও পড়ুন: সমীক্ষা শেষ, জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শিবলিঙ্গের হদিশ
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনের বন্যার কারণে অসমে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩ জন। এছাড়াও রাজ্যের ৭’টি জেলার ২২২’টি গ্রামের ৫৬,৬৬৯ জন মানুষ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। অসমের এই বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল, Cachar, Dhemaji, Hojai, Karbi Anglong West, Nagaon, Kamrup Metropolitan এবং Nalbari।
শুধু তাই নয়, গত কয়েকদিনের অতিভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির পাশাপাশি এই রাজ্যের বেশকিছু অংশে ধস দেখা গিয়েছে। ভূমিধসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যান এবং রেল পরিষেবা।
অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এএসডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, কাছাড় জেলা থেকে ১ শিশু সহ ৩ জন রবিবার থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এসডিআরএফ, ফায়ার অ্যান্ড এমার্জেন্সি সার্ভিস এবং জেলা প্রশাসনের তরফে জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি ও উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছে। বন্যার জলে এই জেলার ২০৯৯.৬ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা
শুধুমাত্র, বন্যার কারণে কাছাড় জেলাতেই মোট ৪১,০৩৭ জন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। হোজাই জেলার ১৩,৫২৩ জন। কাছাড়, হোজাই, কার্বি আংলং পশ্চিম এবং নগাঁও জেলায় মোট ২৯টি ত্রাণ শিবির এবং ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বর্তমানে ৪,৩৩০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।