বাংলার খবর
বাড়িতে বিদ্যুৎ ফেরাতে উদ্যোগী, উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারি অর্পিতা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করল সোনামুখীর মেয়ে অর্পিতা মন্ডল। আগামী দিনে একজন শিক্ষিকা হতে চায় এবং সমাজের জন্য কাজ করতে চায় সে। তাঁর সাফল্যে খুশি গ্রামবাসী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলেই।
বাঁকুড়া জেলার ছেলেমেয়েরা ব রাবরই ভালো ফলাফল করে, এ বছরও তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তারা। এমন অনেক পরিবার রয়েছে সংসার চলে না তারাও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে চলতি বছরে। এ রকমই একজন হল বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের অর্পিতা মন্ডল।
আরও পড়ুন: শরীর ও ত্বককে সুন্দর ও সতেজ রাখতে পারে এই প্রাকৃতিক খাবারগুলি !
দারিদ্রতা তার নিত্যদিনের সঙ্গী কোনরকমে সংসার চালান শারীরিকভাবে অসুস্থ দিনমজুর বাবা। দারিদ্রতাকে সঙ্গী করেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো রেজাল্ট করেছে অর্পিতা মন্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। এবছর সে পাথরমোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। শুক্রবার রেজাল্ট বের হতেই দেখা যায় গোটা রাজ্যের মধ্যে সে ৪৯৫ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে ও বাঁকুড়া জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দারিদ্রতা এতটাই, যে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পর্যন্ত নেই এমার্জেন্সি লাইট দিয়ে কোনরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যেত অর্পিতা। বাবা একজন দিনমজুর তার ওপর শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি। মা গৃহবধূ। বসতবাড়ি একেবারেই জরাজীর্ণ। আতঙ্ক নিয়ে ওই বাড়িতে রাত কাটাতে হয় তাদের। ঝড়-বৃষ্টিতে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বসতবাড়ি। এত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে তার এই সাফল্য নজর কাড়ছে সকলের। খুশি গ্রামবাসী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলেই।
দারিদ্রতাকে কাটিয়ে আগামী দিনে কতটা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে সে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন তার কাছে। তবে সরকারিভাবে তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আগামীদিনে অর্পিতা মন্ডল সমাজের জন্য আরও ভাল কিছু করবে বলেই মনে করছেন সকলে। এ বিষয়ে সোনামুখী পৌরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখার্জি তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।