রাজ্যে বিজেপির সংগঠন নিয়ে আবারও বিস্ফোরক অর্জুন
Connect with us

বাংলার খবর

রাজ্যে বিজেপির সংগঠন নিয়ে আবারও বিস্ফোরক অর্জুন

Raju Dhara

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্য বিজেপি নিয়ে আবারও বোমা ফাটালেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। রাজ্যে দলীয় সংগঠনের অবস্থা ঠিক নেই। যাঁরা কাজ করতে চাইছেন, তাঁরা কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করলেন অর্জুন। শুক্রবার অর্জুন সিং বলেছেন, ‘রাজ্যে সংগঠনের অবস্থা ঠিক নেই। বিজেপি-কে ঘুরে দাঁড়াতে হলে আগে সংগঠনকে ঠিক করতে হবে। যারা কাজ করতে চায় তারা কাজ করতে পারছে না। যারা সংগঠন করতে পারবে তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। এটা আমরা সবাই বুঝতে পারছি। কেউ প্রকাশ্যে বলছে আর কেউ পিছনে বলছে। পেনের কালি ভরে দিতে হবে। শুধু পেন দিলেই হবে না।’ রাজ্য নেতৃত্বের উদ্দেশ্যেই যে ব্যারাকপুরের সাংসদ এই মন্তব্য করেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। গোটা বিষয়টি তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কে জানিয়েছেন। আগামী সোমবার তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে। তখনও তিনি তাঁকে আবারও সমস্ত কিছু জানাবেন এবং রাজ্যে দলীয় সংগঠনকে ঘুরে দাঁড় করাতে জেপি নাড্ডা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন অর্জুন সিং। বলেছেন, ‘নাড্ডাজি কী ভাবে সাংগঠন মজবুত করবেন, সেটা তিনি দেখবেন। আমি বেশকিছু প্রস্তাব তাঁকে দিয়েছি। যেগুলো করলে সংগঠন মজবুত হবে বলে আমার মনে হয়েছে, সেগুলো নড্ডাজিকে জানিয়েছি।’

পাটের দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছেন অর্জুন সিং। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে এই ব্যাপারে তাঁর সাহায্যও চান। এবং প্রকাশ্যে দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। তারপরই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়, এবার কি অর্জুন সিংও পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন! তারপরই তড়িঘড়ি অর্জুন সিংকে দিল্লিতে তলব করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিক্ষুব্ধ অর্জুনকে শান্ত করতেই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। দিল্লি যাওয়ার আগেও দলে কাজ করা যাচ্ছে না অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অর্জুন। দিল্লি থেকে ফিরে আসার পরও সেই একই সুর শোনা গেল ব্যারাকপুরের সাংসদের গলায়।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.