দেশের খবর
নুন-আদা-রসুন-লঙ্কা দিয়ে মাখা পিঁপড়ের চাটনি! পেতে পারে জিআই তকমা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাম সরকারের আমলে জঙ্গলমহলের মানুষদের পিঁপড়ে খেয়ে বেঁচে থাকার খবর একটা সময় রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছিল। একটা লাল পিঁপড়ের কামড়ে জ্বালা, যন্ত্রণা কম হয় না। তাই লাল পিঁপড়ে দেখলেই ভয়ে সরে যায় সকলে। কিন্তু এই লাল পিঁপড়ে নাকি খুবই সুস্বাদু! তার জন্য মিলতে পারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। লাল পিঁপড়ে দিয়ে তৈরি সুস্বাদু চাটনি পেতে পারে জিআই তকমা!
আমাদের রাজ্যের জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে লাল পিঁপড়ে খাওয়ার চল থাকলেও মূলত ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার মানুষদের কাছে লাল পিঁপড়ের কাই চাটনি খুবই জনপ্রিয় একটি পদ। সেখানকার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাতেই পিঁপড়ের কাই চাটনি খাওয়ার চল রয়েছে। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন কাই চাটনিতে নাকি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ফাইবার এবং ১৮ রকমের অ্যাসিড। পিঁপড়ের এই চাটনি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে বলে দাবি ময়ূরভঞ্জের আদিবাসীদের।
তাই বিজ্ঞানীরা থেকে শুরু করে উড়িশা সরকার পিঁপড়ের সুস্বাদু চাটনির জিআই তকমা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গিয়েছে। কাই চাটনির জিআই রেজিস্টি পেতে অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরদের মতে জিআই তকমা পেলে কাই চাটনি তৈরির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও বেশি করে হাইজিন মেনে চলা সম্ভব হবে। সেই ইসঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও রোজগারের একটা পথ খুলে যাবে।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় সারা বছরই পাওয়া যায় এই লাল পিঁপড়ে। গাছের মধ্যে বাসা বাঁধে এই পিঁপড়ে। গাছ থেকে পিঁপড়ে বের করে এনে আদিবাসীরা গাছের পাতায় লেগে থাকা ওই পিঁপড়েগুলোকে জলে ডুবিয়ে রাখে। এরপর পিঁপড়ের লার্ভাগুলো আলাদা করা হয়। এরপর নুন, আদা, রসুন এবং লঙ্কা সহ অন্য মশলা মিশিয়ে পিঁপড়ের কাই চাটনি তৈরি করা হয়। ময়ূরভঞ্জ গেলে আপনিও একবার পিঁপড়ের কাই চাটনির স্বাদ চেখে দেখতে পারেন। দেখবেন নাকি!