বাংলার খবর
ছাত্রী ও শিক্ষিকা হিসেবে কেমন ছিলেন অঙ্কিতা! জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও পেয়ে গিয়েছিলেন স্কুলশিক্ষিকার চাকরি। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠতেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি তিনি যতদিন চাকরি করেছেন সেই ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ৭ জুন ও ৭ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যতদিন মামলা চলবে ততদিন তিনি নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তাঁকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর সেই স্কুলেই ২০১৮ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন অঙ্কিতা। স্কুলের ছাত্রী এবং শিক্ষিকা হিসেবে কেমন ছিলেন অঙ্কিতা? জানিয়েছেন ছোট থেকেই অঙ্কিতাকে দেখা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া। ১৯৯৪ সালে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রঞ্জনা রায় বসুনিয়া। সেই সময় অঙ্কিতা ওই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আর ছাত্রী সহকর্মী। তাই অঙ্কিতাকে তিনি খুব ভালো করেই চেনেন। অঙ্কিতার এই খবর সামনে আসতেই তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। রঞ্জনা রায় বসুনিয়া জানিয়েছেন, ছাত্রী হিসেবে অঙ্কিতা খুব ভালোই ছিলেন। এবং শিক্ষিকা হিসেবেও দায়িত্ব নিয়ে মনোযোগ সহকারে নিজের কাজটা করতেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘ছাত্রী হিসেবে অঙ্কিতা স্কুলের অন্যান্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। ক্লাসে বরাবরই ও প্রথম হত। শিক্ষিকা হিসেবেও ও সব কাজ মনোযোগ সহকারে ভালো মতো করার চেষ্টা করত। তবে ওর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। নিজের দায়িত্ব টুকুই পালন করে যেতে চাই। অঙ্কিতাকে নিয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, আমরা সেই মতোই সমস্ত কাজ করছি। ডিআই অফিস থেকে ওর বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন স্কুলে ছুটি চলছে। আমি বাড়িতে রয়েছি। আদালত ও রাজ্য সরকার যে নির্দেশ দেবে, আমরা সেইভাবে কাজ করব।’