বাংলার খবর
থমথমে পরিবেশে সিট ও জেলা জজের উপস্থিততে কবর থেকে তোলা হল আনিসের দেহ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আজ সকাল দশটার পরে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মৃত আনিস খানের দেহ তোলা হল। আগেরবারের ময়নাতদন্তকে ঘিরে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন আনিসের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদেরকে না জানিয়েই আমতা থানার পুলিশ ময়নাতদন্ত করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপরে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সিটকে দিয়েই তদন্ত করানোর। পাশাপাশি দ্বিতীবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে মৃতদেহ তুলতে বলা হয় সিটকে। এছাড়াও টিআই প্যারেডের নির্দেশও দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ ১০টায় মৃতদেহ তোলার সিদ্ধান্ত থাকলেও জেলা বিচারকের দেরিতে আসার কারণে তা বিলম্বিত হয়। পরে বিচারক এলে মৃতদেহ দুপুর ১২টা নাগাদ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আনিসের বাবা সালেম খান আগে থেকেই জানিয়েছিলেন তিনি ওই প্রক্রিয়াতে অংশ নেবেন না। তাঁর জায়গায় আনিসের দাদা সাবির খান এবং গ্রামের ১০ থেকে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই মৃতদেহ কবর থেকে তুলে আনা দেখার জন্য ভিড় জমায় উৎসুক গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হয়।
সিটের কর্তারা মৃতদেহ কবর থেকে তুলে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। গোটা প্রক্রিয়া জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে ও ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে করা হয়। সকালে কবর তোলার আগে প্রার্থনা করেন আনিসের পরিবারের সদস্যরা। সকাল আটটা নাগাদ সিটের সদস্যরা আনিসের আমতার বাড়িতে পৌঁছন। তিন সদস্যের সেই দলে ছিলেন হাওড়ার বিএমওএইচ এবং এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁরা প্রথমে আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলেন। তার পর শুরু হয় দেহ কবর থেকে তোলার প্রস্তুতি। কিন্তু আনিসের বাবা জানান, জেলা জজ না এলে দেহ কবর থেকে তুলতে দেবেন না তিনি। এরপর জেলা জজ বেলা বারোটা নাগাদ পৌঁছলে, তখন কবর থেকে দেহ তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। একজন ইমাম, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের অনান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কবর থেকে দেহ তোলা হয়।