দেশের খবর
আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে আরও আট চিকিৎসক পজেটিভ! রাজ্যে ৬০ দন্তচিকিৎসক করোনা আক্রান্ত

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬। বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। তার মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৯০ জন। এরই মধ্যে আরও উদ্বেগ বাড়াল শিয়ালদহের আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল।
বৃহস্পতিবারই আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অধ্যক্ষ তপন গিরি, লেডিজ হোস্টেলের সুপার এবং রাজ্য ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি রাজু বিশ্বাস সহ মোট ১৩ জন। শুক্রবার নতুন করে আরও আটজন করোনা পজেটিভ এসেছেন। এখনও পর্যন্ত আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ২১ জন চিকিৎসক ও নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার যে আটজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৬ জন চিকিৎসক, একজন নার্সিং স্টাফ এবং লেডিস হোস্টেল সুপারের ১৪ বছরের মেয়ে রয়েছেন। এখন অবধি এই হাসপাতলে ১৯ জন চিকিৎসক পজেটিভ এসেছেন।
বৃহস্পতিবার যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মী ও পড়ুয়াদেরও কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তাঁদেরই মধ্যে আট জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে শুক্রবার। ফলে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফদের পাশাপাশি হোস্টেলের আবাসিকরাও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এখনই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন রাজ্য ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি রাজু বিশ্বাস। তবে পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে চিঠি লিখে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলবেন বলেও ভাবছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
তাঁর আশঙ্কা টেস্ট হলে, আরও অনেক চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফের রিপোর্ট পজেটিভ আসতে পারে। আক্রান্ত চিকিৎসকদের কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না জানতে, জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট করানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে নয়, বর্ধমান সহ রাজ্যের অন্যান্য ডেন্টাল কলেজ সহ বেসরকারি দন্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী হাসপাতালেও বহু দন্তচিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে সেই সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ৬০-এ। রাজ্য ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি রাজু বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘দাঁতের চিকিৎসার জন্য রোগীর মাস্ক খুলে চিকিৎসকদের চিকিৎসা করতে হয়।
রোগীদের মাস্ক খোলা থাকায় চিকিৎসকরা যতই মাস্ক পরে থাকুন, তাতে সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিদিনই আর আহমেদ ডেন্টাল হসপিটালে এক থেকে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকেই উপসর্গহীন ভাবে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সেখান থেকেই চিকিৎসকরা সংক্রমিত হচ্ছেন।’ আর সেই কারণেই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে সাময়িকভাবে পরিষেবা বন্ধ রাখার ভাবনা চিন্তা করছেন চিকিৎসকরা।