সিঙ্কহোলের ভিতরে নতুন পৃথিবী! চিনে সন্ধান মিলল দানবীয় ভূগর্তের
Connect with us

ভাইরাল খবর

সিঙ্কহোলের ভিতরে নতুন পৃথিবী! চিনে সন্ধান মিলল দানবীয় ভূগর্তের

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রহস্যঘেরা পৃথিবীতে শেষ নেই রহস্যের! অজানাকে জানা আর অচেনাকে চেনার জন্য প্রতিমুহুর্তে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন বহু মানুষ। করে চলেন নতুনের সন্ধান।

তেমনই নতুন কিছু আবিস্কারের লক্ষ্যে বহুদিন ধরে নানা গুহা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন চিনের একদল প্রকৃতি বিজ্ঞানী। এবার তাঁদের অনুসন্ধানে খোঁজ মিলল প্রায় ১৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা একটি গাছের সঙ্গে একটি সিঙ্কহোলের। যার নীচে লুকিয়ে থাকা বা সমৃদ্ধশালী হয়ে বেড়ে ওঠা একটি ‘গুপ্ত বন’ আবিষ্কার করেছেন তাঁরা।

প্রাচীন ওই বনটি দক্ষিণ চিনের গুয়াংজি অঞ্চলে একটি বিশাল সিঙ্কহোলে আবিষ্কৃত হয়েছে। যা ৬৩০ ফুট গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুটেরও বেশি বিস্তৃত। চিনা বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, বনটিতে অনান্য প্রজাতির বাসস্থান হতে পারে। যা অতীতেব কোনও বিজ্ঞানী দ্বারা এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।

Advertisement

গুয়াংজি সাইটটি দক্ষিণ চীনের সিঙ্কহোলের জন্য বিখ্যাত এবং ৩০ টির মধ্যে এটি বৃহত্তম। সাইটটির দেয়ালে তিনটি গুহা এবং নীচে একটি সুসংরক্ষিত আদিম বন ছিল বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: স্বামীকে সঙ্গে করে স্পেনে নিয়ে যেতে ব্যর্থ স্ত্রী, চরম পরিণতি পাক ২ বোনের

এই বিষয়ে চৈনিক বিজ্ঞানী Chen Lixin বলেন,”গুহার ভিতরে অনেক গভীরে এই বনের হদিশ মেলায় আমি সত্যিই অবাক! এর আগে কখনও এমন আবিস্কারের কথা সেভাবে শোনা যায়নি।”

Advertisement

এই অঞ্চলের সিঙ্কহোলগুলি কার্স্ট ল্যান্ডস্কেপের অংশ এবং যখন ভূগর্ভস্থ জল বেডরক দ্রবীভূত করে তখন তৈরি হয়। যার ফলে একটি গুহা চেম্বারের ছাদ ভেঙে পড়ে। সিঙ্কহোলটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শেনিয়াং তিয়ানকেং বা “তলবিহীন গর্ত” নামেও পরিচিত। এই বিষয়ে ‘গুয়াংজি ডেইলি’ পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্কহোলটি বিপজ্জনক, অদ্ভুত, খাড়া এবং সুন্দর। এশিয়ান কেভস অ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান ঝাং ইউয়ানহাই বলেন, ”বৈজ্ঞানিক এই অভিযানটি জিওপার্কের সুরক্ষা সুযোগ পুনর্বিন্যাস, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও অনুসন্ধান ঘাঁটি স্থাপন এবং স্থানীয় পর্যটন বিকাশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”

আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনা, ১৬ দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা সৌদি আরবের

গুয়াংজি ডেইলি পত্রিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ” ওই অভিযাত্রীর দলটি গর্তের নীচে বুনো গাছের একটি বড় টুকরো, সেইসঙ্গে একটি বিরল বর্গাকার বাঁশ খুঁজে পেয়েছিল। তবে, গর্তের নীচে ভূগর্ভস্থ কোনও নদীর সঙ্গে সংযোগকারী কোনও গুহা ছিল না। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, ভূগর্ভস্থ নদীটি বাঁকানো হয়েছে”।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.