বাইরে আছড়ে পড়ছে গোলা-বারুদ, বাঙ্কারে শ্বাসকষ্টে ওষ্ঠাগত প্রাণ! ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিন কাটছে দেবারতিদের
Connect with us

দেশের খবর

বাইরে আছড়ে পড়ছে গোলা-বারুদ, বাঙ্কারে শ্বাসকষ্টে ওষ্ঠাগত প্রাণ! ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিন কাটছে দেবারতিদের

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ছে রুশ গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র। মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল ছেড়ে জায়গা হয়েছে বাঙ্কারে। বাঙ্কারে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। মৃত্যুর আতঙ্কের মধ্যে এই ভাবেই দিন কাটছে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের।

ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতার কথাই ইউক্রেন থেকে জানিয়েছেন হাওড়ার বাসিন্দা কারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী দেবারতি দাস। এমনিতে ইউক্রেনে দূষণহীন পরিবেশ হলেও যুদ্ধের বাজারে লাগাতার গোলা-গুলি চলার ফলে বেড়েছে দূষণ। স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে আর বাঙ্কারে থাকতে পারছে না তাঁরা। কলেজের হোস্টেলের সামনে আছড়ে পড়ছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। মেয়ের কাছে সেই খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুঃশ্চিন্তায় পরিবার। হোস্টেলের সিনিয়রদের বারন না শুনে বাঙ্কার ছেড়ে বেরোতেই সামনে পড়ছে গোলা। কিভাবে বাড়ি ফিরবেন, আদৌ বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা সেই কথা ভেবেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দেবারতি। কেন্দ্রীয় সরকারের হেল্পলাইনে ফোন করে যাবতীয় তথ্য দিলেও, পরিবারের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করেনি কেউ। সোমবার ভোর ৩টের সময়ে মেয়ের সঙ্গে কথা হলেও তারপর থেকে আর যোগাযোগ করতে পারছে না পরিবার।

একই ভাবে ইউক্রেনের টার্নপিল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়তে গিয়ে আটকে হাওড়ার বালির প্যায়ারী মোহন মুখার্জি রোডের বাসিন্দা অন্বেষা দাসের (২১)। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইউক্রেনে চিকিৎসাসশাস্ত্র নিয়ে পড়তে যান তিনি। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমন করার পরে জারি করা হয়েছে ইমার্জেন্সি। চরম উদ্বিগ্নে পরিবার। বারেবারে মেয়েকে ভিডিও কল করে নিজের চোখে মেয়েকে দেখে মানসিক শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে পরিবার। এলাকায় চলছে কার্ফিউ, পানীয় জলের সরবারাহ বন্ধ থাকায় জল কিনে খেতে হচ্ছে। পানীয় জল, খাবার বা টাকা তোলার এটিএম- সর্বত্রই পড়ছে লাইন। ইউনিভার্সিটির ইউক্রেন মেস বন্ধ করে দেওয়া হলেও চালু রয়েছে ইন্ডিয়ান মেস। ফলে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা মেস থেকেই খাবার পাচ্ছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সরকারের কাছে পরিবারের পক্ষ আবেদন করা হয়েছে, ফিরিয়ে আনা হোক ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের। পাশাপাশি ইউনিভার্সিটির কাছেও তাঁরা আবেদন করেছেন, অফলাইন ক্লাস বন্ধ করে অনলাইন ক্লাস চালু করা হোক।

Advertisement