আন্তর্জাতিক
Russia Ukraine War: অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে হামলা রাশিয়ার, বিপর্যস্ত জনজীবন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিফলে শান্তি চুক্তি। গত ২৬ দিন ধরে টানা ইউক্রেনের উপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা হলেও তবুও যুদ্ধ থামানোর নাম নেই। মাথা নত করতে নারাজ পুতিন। একদিকে সুপার হাইপারসনিক মিসাইল অন্যদিকে রাশিয়ার এয়ার স্ট্রাইকে এবার অ্যামোনিয়া লিকের আতঙ্ক ছড়াল ইউক্রেনের সুমি শহরজুড়ে।
জানা গিয়েছে, রুশ হামলার জেরে খতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের সুমি শহরে অবস্থিত একটি অ্যামোনিয়াপ্ল্যান্ট। বিস্ফোরণের জেরে অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে প্রাণহানির আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচতে সুমির সাধারণ নাগরিকদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বদ্ধ বাতাস গ্রহণ সহ বার বার স্নানের পরামর্শও দিয়েছেন সুমির গভর্নর Oblast Dmytro Zhyvytsky।
এদিন তিনি জানান, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪’টে নাগাদ সুমির ওই অ্যামোনিয়াপ্ল্যান্টে এয়ার স্ট্রাইক ঘটায় রাশিয়া।এই ঘটনায় অন্তত ২.৫ কিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছেন তিনি। যারফলে জনসাধারণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামাচ্ছে না রাশিয়া, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কায় জেলেনস্কি
এদিকে, টানা ২৬ দিন ধরে চলা বিরামহীন এই যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এদিন তিনি একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই মস্কো যদি ইউক্রনের সঙ্গে সমঝোতায় না বসে তাহলে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগোবে। এই নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। রুশ হামলায় অবরুদ্ধ মারিউপোল। বিপর্যস্ত জনজীবন।
আরও পড়ুন: অবতরণের সময় দুর্ঘটনা! ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে চিনে ভেঙে পড়ল বোয়িং-৭৩৭
এদিকে, ক্রমাগত রুশ হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন। ইউক্রেন দখল নিতে এবার হাইপারসনিক মিসাইল ছুঁড়তে শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার হামলার জেরে সুমি শহরের অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক। বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই দুই দেশের যুদ্ধে গত ২৬ দিনে ইউক্রেনে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬.৫ মিলিয়নেরও বেশি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন অন্তত ৬.৫ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় নাগরিক। এছাড়াও জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা একটি সমীক্ষায় জানিয়েছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তুর মতন প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ।