দেশের খবর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেই ভারত সফরে বরিস

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত দু’বছর ধরে কোভিড পরিস্থিতির জেরে বার-বার বদল হয়েছে সফরসূচি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের ভারত সফরের কথা ঘোষণা করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সূত্রের খবর, চলতি এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ ভারত সফরে আসতে পারেন বরিস। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এটিই হবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কারও প্রথম ভারত সফর। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহ। দিন যত যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে। আর এরই মধ্যে বরিসের এই ভারত সফর বিশেষ তাৎপর্য পূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা গিয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল গুজরাটের আমেদাবাদে প্রথমে আসবেন বরিস। এরপর সেখান থেকে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। দুই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্যিক অবস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে এই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই একপ্রকার রাশিয়ার সঙ্গে সখ্যতায় মেতেছে ভারত।
আরও পড়ুন: আর্থিক তছরূপ মামলায় দাউদের ভাই ইকবাল কাসকরকে চার্জশিট দিল ED
যুদ্ধের আবহে পুতিনের দেশ থেকে সস্তায় জ্বালানি তেলও আমদানি করেছে দেশে। এরকম জটিল অবস্থার মধ্যেই ২ দিনের জন্য ভারত সফরে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শনিবারই প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বরিসের ভারতে আসার বিষয়ে দিনক্ষণ এবং সময়সূচি জানানো হয়েছে।
এদিকে করোনার কারণে এর আগে তিনবার বাতিল হয়ে গিয়েছিল জনসনের ভারত সফর। তবে এইবার প্রথম ভারত সফরে আসছেন তিনি। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূর ঠেকে দু’দিনের এই ভারত সফরে এসে বরিসের প্রধান লক্ষ্যই হল ২০৩০ সাল পর্যন্ত দুই দেশের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক রোডম্যাপ তৈরি করা। জানা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হবে মোদি-বরিস বৈঠকে।
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে উত্তেজনা, গ্রেফতার ১৪
জানা গিয়েছে, ইন্দো প্যাসিফিক, বেক্সিট সম্মেলন এবং বিদেশনীতির ক্ষেত্রে ভারতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে ইউরোপ মহাদেশের এই দেশটি। তার জন্য বরিসের এই দু’দিনের ভারত সফর যে বেশ তাৎপর্য পূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে বরিসের এই সফরে শুধুমাত্র বৈদেশিক নীতি প্রাধান্য পাবে তা নয়। বরিসের এই ভারত সফরের দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় আরও একটি বিষয় উত্থাপিত হতে পারে তা হল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি।