দেশের খবর
আতঙ্কের মধ্যেই ১৭৭ কাশ্মীরি পন্ডিত শিক্ষককে শ্রীনগরের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রমবর্ধমান হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে, মোট ১৭৭ কাশ্মীরি পন্ডিত শিক্ষককে শ্রীনগরের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হল। শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে উচ্চ-নিরাপত্তা বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সেখানকার জনগণকে উপত্যকা থেকে সরানো হবে না। তবে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অনেক কাশ্মীরি পন্ডিত এবং সরকারি কর্মচারি হামলার কারণে কাশ্মীর থেকে তাঁদের বদলির দাবি করছেন। পরবর্তীতে হত্যা বা হামলা এড়াতে অনেকেই তাঁদের পরিবারকে নিয়ে ইতিমধ্যেই অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছেন। জম্মুতে স্থানান্তরের জন্য কাশ্মীরি হিন্দুদের বিক্ষোভের মধ্যে, সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবার এই সপ্তাহে উপত্যকার ট্রানজিট ক্যাম্প ছেড়ে চলে গিয়ছে। অনেকে আতঙ্কে তাদের নিজস্ব যানবাহনে গিয়েছেন, কেউ কেউ আবার সাইকেলে করেই উপত্যকা ছেড়েছেন৷ ইতিমধ্যেই, কাশ্মীরি পণ্ডিত শিক্ষকদের স্থানান্তর সম্পর্কে যত দূর জানা গিয়েছে, তাতে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকা অনুযায়ীই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েই কর্মচারীদের তাঁদের পরিবারের সঙ্গে আরও সুরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ যে সমস্ত জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, সেখানেও লোকজনের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা হবে বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ, পরিযায়ী কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং বাইরের সরকারি কর্মীদেরও উপত্যকার অন্যান্য নিরাপদ অঞ্চলে পোস্ট করার জন্য গত ৩ জুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহে, উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং অন্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের হত্যার ঘটনায়, বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারি জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি জম্মু বা তাঁদের নিজ নিজ জেলায় স্থানান্তরিত করার দাবি তুলে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। সরকার এ ধরনের হামলা বন্ধ না করলে এবং তাদের নিরাপত্তা না দিলে আন্দোলনরত কর্মচারিরা কাজে যোগ না দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। রাহুল ভাট, আমরীন ভাট, রজনী বালা এবং সম্প্রতি বিজয় কুমার-সহ কাশ্মীরি পন্ডিত এবং হিন্দুদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। তার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার উপত্যকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশকে সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্যও বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।