বাংলার খবর
অমরনাথে মৃত্যুমিছিল, বাড়ি ফিরল বর্ষা মুহুরির কফিনবন্দি দেহ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী ১৬ জুলাই কলকাতায় ফেরার কথা ছিল, কিন্তু তার আগে ফিরল নিথর দেহ। ৮ তারিখ অমরনাথ দর্শন করেছিলেন বারুইপুরের চক্রবর্তী পাড়া থেকে সাত যাত্রী। সেই দলে ছিলেন বর্ষা মুহুরি।
সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাড়িতে পৌঁছয় বর্ষার দেহ। হাজির ছিলেন আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা। এরপর বারুইপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গোটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে অমরনাথের গুহার একেবারে কাছেই ভেসে গিয়েছে প্রায় ২৫ টি তাঁবু। কাদামাটির নিচে কয়েকটি তাঁবুর ত্রিপল দেখা যাচ্ছে শুধু। এদিকে মৃতদের মধ্যে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরের তিন জন, মহারাষ্ট্রের দু’জন এবং পশ্চিমবঙ্গের একজন রয়েছেন। শুক্রবারের মেঘভাঙা বৃষ্টির সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে যান বারুইপুরের বর্ষা। গতকাল ২২ বছরের তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আহত হয়েছেন বর্ষার মা ও মামাও। পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে বের হন বর্ষার মা নিবেদিতা মুহুরি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। পায়ে চোট রয়েছে বর্ষার মামা সুব্রত চৌধুরীরও।
বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সবরকম সরকারি ব্যবস্থা জম্মু থেকেই করা হয়েছে৷ কার্গোতে দেহ নেমেছে৷ আমরা এখান থেকে বারুইপুরে যাব এবং সেখানেই দাহ করার ব্যবস্থা করা হবে৷ পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স করে মৃতার অসুস্থ মা ও তাঁর আত্মীয়কে নিয়ে যাব৷’’