তিরুবনন্তপুরমে সিপিআইএম-এর রাজ্য দফতরে বোমবাজির অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কেরালায় কংগ্রেস-সিপিআইএম সংঘাত অব্যাহত। কিছুদিন আগেই ওয়ানাডে সাংসদ রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ে তান্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিআইএম-এর ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর বিরুদ্ধে। এবার তার পাল্টা হিসেবে তিরুবনন্তপুরমে কেরল সিপিআইএম-এর রাজ্য দফতরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট।

সিপিআইএম-এর রাজ্য দফতরে বোমাবাজির ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজ্যে সিপিআইএমের সমস্ত কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিরুবনন্তপুরমের পুলিশ কমিশনার স্পারজন কুমার। রাজ্যের পুলিশ প্রধান অনিল কান্ত সমস্ত জেলার এসপিদের কঠোর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক ব্যক্তি বাইকে করে এসে তিরুবনন্তপুরমের পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ছে। এবং বোমাটি ছুঁড়েই সে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে বোমার তীব্রতা বেশি থাকলেও পার্টি অফিসের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়েছে কেরল পুলিশ।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সিপিআইএম পলিটব্যুরো। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে সিপিআইএম নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পিকে শ্রীমতি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি পার্টি অফিসের তিনতলায় ছিলেন। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি দেখেন, পার্টি অফিসের সামনে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। এই হামলার নিন্দা করতে রাজ্যের সমস্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন তিনি।

এই ঘটনা কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই করেছেন বলে দাবি করেছেন কেরল সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক কোডিয়ার বালাকৃষ্ণান। তবে কেরল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি কে সুধাকরন, গোটা ঘটনাকেই সিপিআইএমের পরিকল্পিত বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নাম সোনা কান্ডে জড়িয়ে পড়ায় সেই দিক থেকে নজর ঘোরাতেই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিপিআইএম। এই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। এই ঘটনায় কেরলের এলডিএফ সরকারের আহ্বায়ক ইপি জয়রাজনের হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন কেরালার ওয়ানাডে রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সহ সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন এসএফআই কর্মীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।