বাংলার খবর
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: স্বামী টাকা দাবি করলেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতেন গৃহবধূ। কিন্তু এই ভাবে কতদিন পারবেন তিনি বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে! স্বামীকে এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে উঠতে পারছিলেন না রীনা চৌহান মাহাতো। বোঝানোর চেষ্টা করলেই কপালে জুটতো মার।
আর সেই মার যে রিনার জীবন কেড়ে নিতে পারে, ভেবে উঠতে পারেনি রিনার বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরের ভেউর গ্রামে। জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরের ভেউর গ্রামের বাসিন্দা মনোজ মাহাতোর সাথে রায়গঞ্জের সুভাসগঞ্জের ফরেস্ট মোড় এলাকার বাসিন্দা রীনার বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই সন্তানও আছে। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রায় টাকার জন্য মারধর করতো রীনাকে। সেই মতো কয়েকবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনেও দেন রিনা।
টাকা এনে দিতে না পারলেই মারধর করতেন মনোজ। এর মধ্যে রীনা অন্তঃসস্ত্বা হয়ে পড়লে শ্বশুর বাড়ির লোকজন টাকার জন্য রীনাকে বেধড়ক মারধর করলে রীনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার সকালেই মৃত্যু হয়। গৃহবধূর পিতা সমর চৌহানের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ফেলেছে। বাপের বাড়ির তরফ থেকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির চারজনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দ্বিপাঞ্জন দাস জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।