ভাইরাল খবর
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ প্রধানের বিরুদ্ধে!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠল খানাকুলের পোল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসিক ইকবালের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান। এই অভিযোগে পুলিশ আজ প্রধান ও তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে।
প্রধান ও তাঁর দলবলের আক্রমণে আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বর্ধমানে রেফার করা হয়েছে তাঁকে। প্রথমে খানাকুল ব্লক হাসপাতাল সেখান থেকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল আক্রান্ত ওই গৃহবধূকে। আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ী ও দেওরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার এই ঘটনায় খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত গৃহবধূ ও তাঁর পরিবার। আক্রান্ত গৃহবধূর নাম আলেনুর খাতুন। আক্রান্ত হন তাঁর স্বামী মহঃ ইয়াসিন, শ্বাশুড়ি সাহিদা বেগম ও দেওর সেখ মহঃ মহসীন।
খানাকুলের চক ভেদুয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে মারধর করছিল প্রধানের লোকজন। তিনি ছাড়াতে গেলে তাঁর পেটে লাথি মারেন প্রধান। ওই গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, তাঁরা দুই ভাই কলকাতায় থাকেন। শনিবার সকালেই গ্রামের বাড়িতে ফিরে জল খাবার খাচ্ছিলেন। সেসময় হঠাৎ প্রধান তাঁর দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর শুরু করে। তাঁর স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁকেও মারধর করা হয়। মহসীনের দাদু সেখ ইলিয়াসের অভিযোগ, ‘পোল-২ এর প্রধান আসিফ ইকবালের অত্যাচার লাগাম ছাড়িয়েছে। যখন তখন টাকা চায়।
দশ হাজার, পাঁচ হাজার না দিলেই বাড়িতে চড়াও হয়।এতদিন চুপ করে থেকেছি।এবার বিচার চাই।’ অভিযুক্ত প্রধানের দাবী, ‘এমন কিছু হয়নি। যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁরা আমার আত্মীয় হন। ওদের পারিবারিক গন্ডোগোল মেটাতে গেয়েছিলাম। কাউকে মারধর করা হয়নি।’ তৃণমূল আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহ বলেছেন, বিষয়টি পুলিশ দেখছে। হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।