অবৈধ ভাবে চলছে মাটি কাটার কাজ, সব দেখেও নিশ্চুপ প্রশাসন
Connect with us

বাংলার খবর

অবৈধ ভাবে চলছে মাটি কাটার কাজ, সব দেখেও নিশ্চুপ প্রশাসন

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দিনের পর দিন ধরে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছিল বেআইনী ভাবে মাটি কাটার কাজ। স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি প্রশাসনের কানে যেতেই অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ করলেন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, দিল্লি (Delhi) রোড সংলগ্ন বৈদ্যবাটি চক এলাকায় চাষের জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কাজ চলছে। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে বুধবার শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে তদন্তে যান।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মাটি মাফিয়ারা এলাকার দরিদ্র চাষিদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁদের জমি কেনার নাম করে অল্প কিছু টাকা ধরিয়ে দিচ্ছেন।

আরও জানা গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে যে সব কৃষক জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করছেন তাঁদের পাশের জমিতে মাটি ফেলে রেখে তাঁকেও বাধ্য করছেন মাটি বিক্রি করতে। যার ফলে অনেকেই কম দামে জমি দিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ। এদিন বৈদ্যবাটি চক এলাকার চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, ”বেশ কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কাজ চলছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোবাইল বিভ্রাটের জের! হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের কাউন্সিলর-চেয়ারম্যান

প্রশাসনিক স্তরে সব জায়গায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে চাষিরা কৃষিজমি বাঁচানোর জন্য, বৈদ্যবাটি চক ও দীর্ঘাঙ্গী মৌজা কৃষি উন্নয়ন সমিতি গঠন করেন।” জানা গিয়েছে, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে ২০০২ সালে হাইকোর্টেও যান। সেই সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে রায় ঘোষণা করে কোর্ট। আদালতের নির্দেশ মত মাঝে কয়েক বছর মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হয় মাটি কাটার কাজ। অনেক বার পুলিশ মাটি কাটা বন্ধ করলেও পরে আবার চালু হয়।

আরও পড়ুন: মমতার উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে চেয়ে পদ্ম ছেঁড়ে ঘাসফুলে নাম লেখালেন ১২ নেতাকর্মী

Advertisement

শুধু তাই নয়, বুধবার অভিযোগ পেয়ে বৈদ্যবাটি চক মৌজা এলাকায় উপস্থিত হন শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অস্মিতা দাশগুপ্ত। এদিন তিনি জমির দাগ নম্বর মিলিয়ে জমি মালিকদের খোঁজও নেন। বহু জমির মালিক আসেন, তাঁদের সমস্যার কথা ভূমি আধিকারিককে জানান। স্থানীয় এক মাটি ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে তার জমির সঠিক নথি দেখতে চান এবং সব কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি। এই বিষয়ে ওই ভূমি আধিকারিক বলেন, ”মাটি কাটা হচ্ছে। স্থানীয় চাষিদের কিছু নিকাশি সমস্যা রয়েছে। রিপোর্ট জেলায় পাঠিয়ে দেবো।”