বাংলার খবর
ইউনিয়নের দখল নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত আলিপুর চিড়িয়াখানা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ। এবার ঘটনাস্থল আলিপুর চিড়িয়াখানা। রবিবার, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। এবার আলিপুর চিড়িয়াখানার ইউনিয়নের দখল নিয়ে সংঘাতে জড়াল দুই দলের ইউনিয়নের সদস্যরআ।
তৃণমূল ও বিজেপির ঝামেলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলিপুর চিড়িয়াখানা চত্বর। চিড়িয়াখানার কর্মী সংগঠনের দখল নিয়েই মূলত তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। সোমবার কোভিডবিধি উপেক্ষা করেই দুই দলের প্রচুর কর্মী-সমর্থক চিড়িয়াখানার গেটের সামনে জমায়েত করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়।অভিযোগ, চিড়িয়াখানায় কর্মী সংগঠনের কার্যালয় থেকে বিজেপির পতাকা নামিয়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আজ থেকে চিড়িয়াখানায় নিজেদের ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করল তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আলিপুর জু একতা ইউনিয়ন’। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ও তৃণমূল জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাই উত্তেজিত সমর্থকদের ঠান্ডা করেন। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘আলিপুর চিড়িয়াখানায় এতদিন কোনও স্বীকৃত কর্মচারী ইউনিয়ন ছিল না।
আজ থেকে আমাদের স্বীকৃত ইউনিয়ন পথ চলা শুরু করল। আমাদের ইউনিয়নের ৩৪৪ জন সদস্য রয়েছে। বিজেপির যে ইউনিয়ন রয়েছে বলা হচ্ছে, তা স্বীকৃত কোনও ইউনিয়ন নয়। তারা চি়ড়িয়াখানার কর্মীদের ভালমন্দের খবর রাখে না। এমনকি কর্মীদের দাবিপূরণেও সক্ষম নয়। তাই তৃণমূল সমর্থিত ইউনিয়ন এখন থেকে কর্মচারীদের যাবতীয় দাবিপূরণে কাজ করবে।’ কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘চিড়িয়াখানাটা কে বিজেপি বদ্ধভূমিতে পরিণত করেছিল। পশু-পাখিদের খাবার চুরি করা থেকে সমস্ত দুর্নীতি করত তারা। সেগুলো যাতে কেউ ধরতে না পারে সেজন্যই তারা অন্য কাউকে ঢুকতে দিত না। তারই প্রতিবাদ করে এখানকার অসংখ্য কর্মচারী আমাদের ইউনিয়নে যোগ দিয়েছেন।
‘ তবে বিজেপি নেতা রাকেশ সিঙের দাবি, ‘চিড়িয়াখানা ইউনিয়নে আমাদের কোনও সদস্য অন্য কোনও ইউনিয়নে যোগ দেয়নি। আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেব বলে একটা ভুল প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু যখন তাঁরা জানতে পারেন আমি দল ছাড়ছি না, তখন তাঁরা আমার সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমাদের ইউনিয়ন নাকি স্বীকৃত নয়। এটা ঠিক নয়। চিড়িয়াখানার স্থায়ী ও ঠিকা কর্মীরা সকলেই আমাদের ইউনিয়নের সঙ্গে আছে। রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। অথচ শাসক দলের নেতারাই নিয়ম ভেঙে চিড়িয়াখানায় জমায়েত করেছেন। তা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি। ওদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার উচিত। কিন্তু থানা এ কাজ করবে না। কারণ পুলিশ তৃণমূলের কথায় চলছে। গোলমাল করে ইউনিয়ন দখলের চেষ্টা গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল।’